আগুনের আতঙ্ক ছড়াল উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে। ট্রেনের একটি এসি কোচ থেকে আচমকা ধোঁয়া বের হতে দেখেন যাত্রীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের মধ্যে💯 আতঙ্ক ছড়ায়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের বামনহাট স্টেশনে। ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় হঠাৎ✱ই কোচ থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। পরে রেল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, গোটা এসি কামরাকে গ্রাস করল🥀 আগুন! আটকে পড়ে রাজধানী এক্সপ্রেস
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে আজ দুপুর ১.৫৫ মিনিট নাগাদ। ট্রেনটি বামনহাট রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় এক্সপ্রেসের এসি থ্রি টায়ারের বি-১ কোচ থꦚেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। রেলের এক কর্মী ট্রেনের এসি কোচটির দরজা খুলতে গিয়ে হঠাৎ ধোঁয়া দেখতে পান। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণে এই ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্টেশনে থাকা রেলকর্মীরা তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনেন। যদিও রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্মোক অ্যালার্মের জন্যই ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল। এবিষয়ে নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মꦇা জানিয়েছেন, ধোঁয়া দেখা দেওয়ায় স্মোক অ্যালার্ম বেজে উঠেছিল। তখন রেলকর্মীরা সেখানে গিয়ে ধোঁয়ার উৎস শনাক্ত করেন। প্রয়োজনীয় মেরামতির পর ট্রেনটি রওনা দেয়। জানা যাচ্ছে, দুপর ২.০৬ মিনিট নাগাদ বামনহাট স্টেশন থেকে ছেড়ে শিয়ালদা স্টেশনের উদ্দেশ্যে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে রওনা দেয়। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতিও এড়ানো গেছে।
এ বিষয়ে বামনহাট রেল উন্নয়ন সমিতির সদস্য শুভঙ্কর ভাদুড়ি বলেন, ‘এদিন রেলের কর্মীরা এসি কোচের দরজা খুলে ধোঁয়া দেখতে পান। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে খবর দেন। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, কোনওভাবে জল বিদ্যুতে🥃র সংস্পর্শে এসে শর্ট সার্কিটের ফলে এই আগুন লেগেছে। যদিও রেল জানিয়েছে, এটি স্মোক অ্যালার্ম ছিল। সেটা রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই ভালো জানা যাবে। তবে আমার যতটা মনে হয় সেটা স্মোক অ্যালার্ম ছিল না। শর্ট সার্কিট থেকেই হতে পারে। এই ঘটনার জন্য ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর ট্রেন ছাড়ে।’