মন্দারমণির হোটেলে তৃণমূল নেতা আবুল নাসারের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য এখনও কাটেনি। যদিও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পেয়েছে পুলিশ। তাতে আত্মহত্যার স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। তবে সেই তথ্য মানতে নারাজ মৃত নেতার স্ত্রী তথা আমডাঙার আদাহাটা পঞ্চায়েতের প্রধান সুরাইয়া পারভিন। উপপ্রধানের দাবি, তাঁর স্বামীকে বেশ কয়েকজন মিলে জোর করে নেশা করিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতার স্ত্রী। এবার পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মন্দারমণিতে তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে পুলিশে আস্থা নেই স্ত্রীর, সিবিআই তদন্তের দাবি
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন, আবুল নাসারের বান্ধবী তনুশ্রী মুখোপাধ্যায় ও বন্ধু আতাউর রহমান। তবে সেই যুবককে নিজেদের লোক এবং নির্দেশ বলে দাবি করেছেন উপপ্রধান। তাঁর বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল মাথাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিশ। যাতে সঠিকভাবে ঘটনার তদন্ত করা হয় সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়েছেন সুরাইয়া পারভিন। তার আর্জি, যারা প্রকৃতভাবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। উপ প্রধানের দাবি, ওই যুবতীর মামাই হলেন এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড।
তার আরও দাবি, ওই ব্যক্তি হলেন উত্তর ২৪ পরগনার একজন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা এবং জমি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। তিনি এখনও পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। উপপ্রধানের আরও অভিযোগ, যুবতীর মামা একজন পন্ডিত। সোদপুরের একটি ৫ বিঘা জমি পাওয়ার করেছিলেন আবুল নাসার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ওই পন্ডিত। কিন্তু, পরবর্তীতে পন্ডিতের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা।
সুমাইয়ার অভিযোগ, বর্তমানে ওই জমির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন টাকার লোভেই তাকে খুন করেছে ওই ব্যক্তি। শুধু উপপ্রধানই নন, পন্ডিতের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন পঞ্চায়েত সদস্য জাকির হোসেনও। তাঁর বক্তব্য, পুরনো পাওয়ারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছিল। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে পুরো জমিটা আবুল নাসারের নামে চলে আসত। টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার চুক্তিও হয়েছিল। তাই পথের কাঁটা সরাতেই পন্ডিত তাকে খুন করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য, মৃত ব্যক্তির মায়ের দায়ের করা অভিযোগে ওই ধৃত যুবকের নাম আছে। পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।