একের পর এক ক্ষেত্রে তোলাবাজির অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ। সম্প্রতি বিধাননগরেরর এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে প্রমোটারের কাছ থেকে তোলা চাওয়ার অভিযোগ। তারপর থেকেই ফেরার ওই টিএমসি কাউন্সিলর। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু তারপরেও খোঁজ মেলেনি ওই কাউন্সিলরের।
এদিকে ইতিমধ্য়েই পুলিশ বড়বাজারে দলের এক যুবনেতাকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধেও তোলাবাজির অভিযোগ। বড়বাজার থানায় ব্যবসা সংক্রান্ত একটা মামলা মিটিয়ে দেবেন বলে প্রায় ৬ লাখ টাকা চেয়েছিলেন তরুণ তিওয়ারি নামে ওই যুব নেতা। অভিযোগ এমনটাই। এমনকী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি আড়াই লাখ টাকা নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। তারপরেও সমস্যা মেটেনি। এরপরই নড়েচড়ে বসে দল। মূলত বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই আর ঝুঁকি নিতে চায়নি দল। সংগঠনের রাজ্যসভাপতি সায়নী ঘোষ তরুণকে বহিষ্কারের কথা জানান। তবে তরুণের দাবি, গোটা ঘটনায় তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে তৃণমূল পাশ থেকে সরে যেতেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে পুলিশ। পুলিশ ইতিমধ্য়েই তরুণের সঙ্গেই তার দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিশেষত শহরাঞ্চলে তৃণমূলকে এই তোলাবাজি তিরে যাতে বিদ্ধ হতে না হয় তার সব চেষ্টা করছে শাসকদল। সেকারণে কোথাও কোনও অভিযোগ উঠলেই আপাত কড়া অবস্থান নেওয়া হচ্ছে। মূলত এই তোলাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বার বার অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে দলকে। এবার সেই তোলাবাজদের শায়েস্তা করতে কিছুটা হলেও কড়া অবস্থান নিচ্ছে দল। কারণ এই তোলাবাজির প্রবনতা বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
তবে তৃণমূলের এই ভূমিকাকে ঘিরে নানাভাবে কটাক্ষ করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে সম্প্রতি আবাস প্রকল্পে ঘর পাওয়ার জন্য কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মুর্শিদাবাদের সুতি ২ নম্বর অঞ্চলের কাসিম নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৯ নম্বর বুথ সভাপতি নীলিমা দাসের বিরুদ্ধে। তিনি এক উপভোক্তার বাড়িতে গিয়ে সরাসরি টাকা চেয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
ভিডিয়ো পোস্টে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘আসুন পরিচয় করি তোলামূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির কাটমানি আদায়কারীর সঙ্গে।ইনি হলেন মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার সুতি-২ ব্লকের কাশিমনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৯ নম্বর বুথের গাজীপুর গ্রামের বুথ সভাপতি নিলিমা দাস। তিনি গরীব মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করছেন।’ তিনি তৃণমূলের নতুন পরিচয় দিয়েছেন, T - টাকা, M - মারা, C - কোম্পানি