বৃহস্পতিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচেই ভারত মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের। আর সেই সঙ্গে রোহিত শর্মা এবং তাঁর টিম পরপর দ্বিতীয় আইসিসি💙 ট্রফির জন্য লড়াই শুরু করবে। ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটি দুই দলের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ হবে। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ওডিআই বিশ্বকাপে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল।
🌠ছয় মাসের ব্যবধানে মাত্র দু'টি ওডিআই সিরিজ খেলে ভারত এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে নামছে। দলের প্রধান কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে গত বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ০-২ হেরেছিল ভারত। যাইহোক, তারা এই মাসের শুরুতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৩-০ হোয়াইটওয়াশ করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ২০২৪ সাল থেকে ন'টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে মাত্র তিনটি জিতেছে। তারা তাদের শেষ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ০-৩ হেরেছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাশাহিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-২ ব্যবধানে হেরেছে।
ওয়ানডে-তে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হেড টু হেড রেকর্ড:
♎ওডিআই ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক অভিষেকের দুই বছর পর, বাংলাদেশ ঘরের মাঠে এশিয়া কাপে ১৯৮৮ সালের অক্টোবরে প্রথম বারের মতো ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল। দু'টি এশিয়ান দেশ সেই সময় থেকে এই ফরম্যাটে ৪১ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। এবং ভারত অপ্রতিরোধ্য ভাবে ৩২ বার জিতেছে। ৮ বার জিতেছে বাংলাদেশ। একটি ম্যাচে কোনও ফলাফল হয়নি। এমনই বাংলাদেশের উপর ভারতের আধিপত্য। ১৬ বছর দরে ভারত টানা ১২টি ম্যাচে জয়ের ধারা বজায় রেখেছিল।
🤡যাইহোক, ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের মোট আটটি জয়ের মধ্যে তিনটি তাদের শেষ পাঁচটি সাক্ষাতে এসেছে, যার মধ্যে ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় এবং ২০২৩ এশিয়া কাপে সুপার ফোরের লড়াইয়ে ছয় রানের জয় রয়েছে। ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত শেষ হাসি হেসেছিল, পুনেতে টাইগারদের সাত উইকেটে হারিয়ে।
আরও পড়ুন: ൲দরজায় কড়া নাড়ছে Champions Trophy, এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসটা জানা আছে? কী কী রেকর্ড রয়েছে জানেন?
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম বাংলাদেশ:
𝓡দুই দেশের ৩৭ বছরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও, ভারত ও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে মাত্র একবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। ২০১৭ সালের সংস্করণে বার্মিংহ্যামে রোহিতের অপরাজিত ১২৩ এবং বিরাট কোহলির অপরাজিত ৯৬ রানের হাত ধরে দ্বিতীয় উইকেটে ভারত ১৮৮ রান যোগ করেছিল। এবং টিম ইন্ডিয়া ২৬৫ রান তাড়া করে ৯ উইকেটে জিতেছিল সেই ম্যাচ। প্রসঙ্গত ভারত, সেবার ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে গিয়ে রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থেকেছিল।