শুক্রবার (৪ এপ্রিল) লখনউতে একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে ১২ রানে পরাজিত হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই নিয়ে মুম্বই ২০২৫ আইপিএলে চার ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হেরে বসে থাকল। এই হারের জন্য কিছুটা হলেও দায়ী থাকবেন হার্দিক পান্ডিয়া।
শেষ দুই ওভারে হার্দিকের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হল
🌞আসলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে জিততে হলে শেষ ২ ওভারে করতে হত ২৯ রান। টি২০-তে এই রান তোলাটা অসম্ভব ছিল না। ১৮তম ওভারে শার্দুল ঠাকুর বল করতে এলে, প্রথম তিনটি ডেলিভারিতে হয় মাত্র ৩ রান। এর পর হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট বদলান। চতুর্থ বলে এক রান নেন তিলক বর্মা। আর পঞ্চম বলে হার্দিক নেন ১ রান। যখন ১৯তম ওভারে এক বল বাকি, তখন তিলককে জোর করে রিটায়ার্ড আউট করান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তিলক কিছুটা বিরক্ত হয়েই প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা লাগান। তাঁর বদলে নামেন মিচেল স্যান্টনার। স্যান্টনার নেমে ষষ্ঠ বলে দুই রান নেন। ৭ রান হয় সেই ওভার থেকে।
আরও পড়ুন: 😼তিলককে রিটায়ার্ড আউট করিয়ে, নিজে ডোবালেন হার্দিক, শার্দুল-আবেশের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ফের হার মুম্বইয়ের
🍌শেষ ৬ বলে মুম্বইয়ের দরকার ছিল ২২ রান। আবেশ খান বল করতে এলে হার্দিক প্রথম বলে ছক্কা মারেন। কিন্তু পরের পাঁচ বলে নেন ২-০-০-১-০। হার্দিক নিজেও মারতে পারছিলেন না, এদিকে স্ট্রাইকও ছাড়ছিলেন না। তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে, স্যান্টনার সিঙ্গল নিতে গেলে, তিনি তাঁকে ফিরিয়ে দেন। রাজি হননি সিঙ্গল নিতে। আসলে স্ট্রাইক ধরে রাখতে চেয়েছিলেন হার্দিক। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হল না।
মুম্বই অধিনায়কের উপর চটলেন আকাশ আম্বানি
🎃আর চরম মুহূর্তে হার্দিক সিঙ্গেল নিতে অস্বীকার করায়, খেপে যান আকাশ আম্বানি। তাঁর সেই বিরক্তির ছবি নেটপাড়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে আকাশ চূড়ান্ত বিরক্তি প্রকাশ করছেন। আসলে তিলক বর্মাকে রিটায়ার্ড আউট করে মিচেল স্যান্টনারকে নামানোর মানে কী, যদি না তাঁকে স্ট্রাইক দেওয়া হয়। হার্দিক শেষ ওভারের প্রথম বলে ছয় মারার পর, দ্বিতীয় বলে মাত্র ২ রান নেন। আর তৃতীয় এবং চতুর্থ বল কার্যত নষ্ট করেন। কোনও রান হয়নি। ম্যাচও সেই সময়ে হাত থেকে বের হয়ে যায়। পঞ্চম বলে এক রান নেওয়ায়, শেষ বলে সুযোগ পেয়েছিলেন স্যান্টনার। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ হেরে গিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। মোদ্দা কথা, দায়িত্ব নিয়ে হার্দিকই ম্যাচটি হারান মুম্বইকে। আর এটা দেখে কর্ণধার আকাশ আম্বানির রেগে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আর এই নিয়ে নেটপাড়ায় চলছে জোর চর্চা।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
෴লখনউ সুপার জায়ান্টস টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৩ রান করে। লখনউয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মিচেল মার্শ। ৩১ বলে ৬০ রান করেন তিনি। এছাড়া হাফসেঞ্চুরি হাঁকান এডেন মার্করামও। তাঁর সংগ্রহ ৩৮ বলে ৫৩ রান। আয়ুষ বাদোনি করেন ১৯ বলে ৩০ করেন, ডেভিড মিলার ১৪ বলে ২৭ করেন। মুম্বইয়ের হয়ে ৫ উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া।
꧒সেই রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯১ রান করে মুম্বই। ১২ রানে তারা ম্যাচটি হেরে যায়। এদিন সূর্যকুমার যাদবের হাফসেঞ্চুরি কাজে আসল না। ৪৩ বলে ৬৭ করেন স্কাই। এছাড়া ২৪ বলে ৪৬ করেন নমন ধীর। ২৩ বলে ২৫ করেন তিলক বর্মা। হার্দিক পান্ডিয়া শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ২৮ করে অপরাজিত থাকেন। তবে দলকে জেতাতে পারেননি।