এবারের বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন হয়তো এটাই। ইংল্যান্ডের মতো প্রতিপক্ষকে একেবারে উড়িয়ে দিল আফগানরা। বিশ্ব ক্রিকেট যে বেশ অবাক হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ গতবারের চ্যাম্পিয়নরা ফেভারিট দলেই টুর্নামেন্টে খেলতে নামে। যদিও তাদের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছে তাদেরকে। এখনও পর্যন্ত বাটলাররা তিন ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়ের মুখ দেখেছে। তার মধ্যে আবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হার। স্বাভাবিক ভাবেই বেশ চাপে রয়েছে আফগান টিম ম্যানেজমেন্ট।
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আফগান দলে খুশির হাওয়া। ঠিক তেমনই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর গোটা আফগান দল। এই পরিস্থিতিতে আফগান কোচের দাবি পুরুষ দল যেমন ক্রিকেট খেলছে, পাশাপাশি মহিলা দলও যেন ক্রিকেট খেলে। ২০১৫ সালের পর এই প্রথমবার বিশ্বকাপে ওডিআই ম্যাচে জয় পেলেন রশিদ খানরা। ২০১৫ সালে তারা স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছিল। এরপর তারা আর কোনও দলকে হারাতে পারেনি। দলের এই পারফরম্যান্সে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি কোচ জোনাথন ট্রট।
ইংল্যান্ড বধ করার পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে জোনাথন ট্রট জানান, 'আমাদের ছেলেরা সত্যি দুর্দান্ত খেলেছে। ছেলেরা দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারণে কিছু মানুষ যে জিনিসগুলি এবং কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সে সম্পর্কে খুব সচেতন। ছেলেরা যে শুধু ক্রিকেট খেলছে তা নয়। তাদের এই লড়াইয়ের সঙ্গে দেশের ভালোবাসা এবং সংগ্রাম জড়িয়ে রয়েছে। আমার মতে ছেলেরা যেমন খেলছে, পাশাপাশি এগিয়ে আসুক মেয়েরাও। ওদেরও ক্রিকেট খেলাতে উৎসাহ দেওয়া হোক। এই জয় ক্রিকেট ব্যাট বা বল তুলতে আফগানিস্তানে যেখানেই থাকুক না কেন ক্রিকেট খেলতে উৎসাহিত করতে পারে।'
ছেলেদের খেলায় বেশ খুশি জোনাথন ট্রট। তিনি জানান, 'এই জয়টা সত্যি খুব আবেগের। বিশেষ করে বিশ্বকাপে এটা আমাদের দ্বিতীয় জয়। এর আগে আমরা স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার আমরা হারিয়েছি গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। স্বাভাবিক ভাবেই ছেলেদের এই প্রচেষ্টায় আমি অত্যন্ত খুশি। এই জয় আমাদের দলের ক্রিকেটারদের অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। শুধু বিশ্বকাপেই নয়, আগামীতেও যে সিরিজ হবে, সেখানে ভালো পারফরম্যান্স করতে চাই।'
প্রসঙ্গত, এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান ২৮৪ রান তোলে। গুরবাজ ৫৭ বলে ৮০ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ৮টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়াও ইকরাম ৫৮ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড দল। মাত্র ২১৫ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তিন উইকেট নেন মুজিব এবং রশিদ। ৬৯ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে অঘটন ঘটালো আফগানরা।