এই বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে মহাশিবরাত্রি। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রির উপবাস পালন করা হয়। এই দিন ভক্তরা ভগবান শিব এবং দেবী পার্বতীর পুজো করে, তাঁদের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। সারাদিন নির্জলা উপবাস পালন করেন (জল ছাড়া উপবাস) অনেকে। তবে কেবল উপবাস নয়, মহাশিবরাত্রির ব্রতর শুভ ফল লাভের জন্য বেশ নিয়ম মাথায় রাখা জরুরি। দেখে নিন এদিন কী কী করা উচিত ও কী কী করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: দিনে ৩ বার শিবলিঙ্গর রঙ বদলায়, বিয়ের জন্য করা মানত কখনও যায়না ব্যর্থ এই মন্দিরে
মহাশিবরাত্রির উপবাসের নিয়ম জেনে নিন
কী কী করা উচিত?
১. ভক্তদের ত্রয়োদশীতে অর্থাৎ মহাশিবরাত্রির আগের দিন থেকেই শিবের উপাসনার জন্য শরীর ও মনকে প্রস্তুত রাখা উচিত। তার জন্য এইদিন একবার খাবার গ্রহণ করা উচিত।
২. শিব পুজোর আগে ভক্তদের স্নান করা উচিত।
৩. রাতে একবার অথবা চার প্রহরে চারবার শিবরাত্রির পুজো করা যেতে পারে।
৪. উপবাসের দিন ভক্তদের অবশ্যই খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে, পবিত্র স্নান সেরে, নতুন পোশাক পরতে হবে।
৫. মহাশিবরাত্রি পুজোর দিন ফল, দুধ, দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং শাকসবজির মতো সাত্ত্বিক খাবার গ্রহণ করা উচিত।
৬. শিব পুজোর আগে জল, দুধ, জাফরান, মধু এবং গঙ্গা জল দিয়ে শিবলিঙ্গকে স্নান করিয়ে প্রদীপ এবং ধূপ জ্বালাতে হয়।
আরও পড়ুন: মহাশিবরাত্রিতে করুন একজোড়া লবঙ্গের এই কৌশল, পূর্ণ হবে যে কোনও মনস্কামনা
কী কী করা উচিত নয়?
১. উপবাসের সময় শস্য এবং ডালের মতো খাবার খাওয়া যাবে না।
২. ভগবান শিবকে নারকেল নিবেদন করা যেতে পারে, কিন্তু নারকেল জল নিবেদন করা যাবে না।
৩. উপবাসের সময় অতিরিক্ত চা এবং কফি পান করবেন না কারণ এটি ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে।
৪. পুজোর সময় ভক্তদের কখনই কুমকুম তিলক ব্যবহার করা উচিত নয়, চন্দন ব্যবহার করা যেতে পারে।।
৫. কেতকী এবং চম্পার মতো ফুল ভুলেও নিবেদন করবেন না ভগবান শিবকে।
মহাশিবরাত্রি বিধি এবং আচার
মহাশিবরাত্রি পুজোর সময়, ভগবান শিবকে বেলপাতা, ধুতরা ফল, চাল, দুধ, দই, চন্দন, ঘি এবং জল নিবেদন করতে হবে। সাফল্য, সমৃদ্ধি, শান্তি এবং সুখের আশীর্বাদ পেতে ভগবান শিবকে এই জিনিসগুলি নিবেদন করা হয়। ভক্তরা দুধ এবং দুধ থেকে তৈরি মিষ্টি বরফি, পেড়া এবং ক্ষীর দিয়ে তৈরি মিষ্টিও নিবেদন করতে পারেন।