মাত্র ১৪ ফুট বাই ১৪ ফুট মাপের ছোট্ট একটি সেল। আর ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারি। ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড তাহাউর রানার এনআইএয়ের সদর দফতরের বর্তমান ঠিকানাই এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। বৃহস্পতিবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে রানাকে। দিল্লিতে নামার পর তাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। মধ্য রাতেই রানাকে এনআইএয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেখানে এনআইএ জিজ্ঞসাবাদের জন্যে রানাকে ২০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায়। তবে শেষমেশ ১৮ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করে আদালত।
আরও পড়ুন-'মেজর সন্দীপ ২৬/১১ শিকার হননি!' শহিদ পুত্রের কর্তব্য পালনে গর্বিত বাবা
সূত্রের খবর, আপাতত রানার ঠাঁই হয়েছে দিল্লিতে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-এর সদর দফতরের নীচতলার একটি সেলে। জানা গিয়েছে, ১৪ ফুট বাই ১৪ ফুট মাপের সেলটি সর্বক্ষণ সিসিটিভির নজরদারিতে রয়েছে। পাশাপাশি ওই সেলের বাইরে নিরাপত্তারক্ষী পাহারা দিচ্ছে। তাহাউর রানা থাকায় এনআইয়েরর সদর দফতরের নীচতলা কার্যত সুবিশাল দুর্গে পরিণত হয়েছে। বাইরে অতিরিক্ত দিল্লি পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে বৃহস্পতিবার রাতে রানা আসার আগে থেকেই পাটিয়ালা হাউস আদালত প্রাঙ্গণে কাউকেই ছাড়পত্র ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
জানা গেছে, রানার সেলের ভিতরে বহুস্তরীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা লাগানো হয়েছে। ইঞ্চিতে-ইঞ্চিতে সিসিটিভি ক্যামেরা নজরদারি চলছে। কেবলমাত্র ১২ জন মনোনীত এনআইএ অফিসার ওই সেলে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন। সেলের মাটিতে একটি বিছানা রয়েছে এবং ভিতরে একটি শৌচালয় রয়েছে। সমস্ত মৌলিক চাহিদা যেমন খাবার, পানীয় জল, চিকিৎসার ব্যবস্থা সেলের ভিতরে রানার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
৬৪ বছর বয়সি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তাহাউর রানাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি বিমানে দিল্লিতে আনা হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পরে তাকে পাটিয়ালা হাউসে একটি বিশেষ এনআইএ আদালতে হাজির করা হয়। বিশেষ এনআইএ বেঞ্চের বিচারক ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজত মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন-'মেজর সন্দীপ ২৬/১১ শিকার হননি!' শহিদ পুত্রের কর্তব্য পালনে গর্বিত বাবা
এদিকে, শুক্রবার থেকে মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে এনআইএ। ডুয়েল ক্যামেরা নজরদারির আওতায় তার জিজ্ঞাসাবাদ চলবে। জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে বিরতি দেওয়া হবে। রানার জবানবন্দী রেকর্ড করা হবে। সূত্রের খবর, রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থা আবেদন করেছে।