ভারত ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। এই আবহে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে পড়শি দেশ। আর এবার সেই ইস্যুতে পালটা গলাবাজি করতে শোনা গেল এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে। জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এই নিয়ে বলেন, 'আমাদের যদি কেউ যদি অনৈতিকভাবে বা অযৌক্তিকভাবে কোনও একটি সুবিধা বঞ্চিত করে, দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তার বিকল্প পথ খুঁজে নেবে। এখন এই বিশ্বে সবকিছুরই কোনও না কোনও বিকল্প উপায় রয়েছে।' (আরও পড়ুন: 'ISI-এর মাধ্🌜যমে উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তি ছড়ানোর ছক...'꧃, ইউনুসকে কড়া আক্রমণ)
আরও পড়ুন: মোক্ষম 🎃সময়ে খেল দেখাল আদানি, অন্ধকারে ডুবতে পারে বাংলাদেশ
এদিকে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক বাংলাদেশি ট্রাক ফিরিয়ে দেওয়া হয় ভারত সীমান্ত থেকে। উল্লেখ্য, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার জেরে নেপাল এবং ভুটানের মতো দেশে সড়কপথেই পণ্য রফতানি করতে পারত বাংলাদেশ। তবে এবার থেকে সেই সুযোগ আর পাবে না বাংলাদেশ। এর জেরে বাংলাদেশের বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে চলেছে। (আরও পড়ুন: ౠ'কেউ কেউ চাইছে ব♏াংলা জ্বলুক', ওয়াকফ নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিষেক)
আরও পড়ুন: ওয়াকফ ইস্যুতে হিংসা ত💝্রিপুরায়, ছোড়া হল পাথর, জখম পুলিশ, গ্রেফতার ৭
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই চ🎀িনে গিয়ে ভারতকে চোখ রাঙিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ 𒐪ইউনুস। তিনি বলেছিলেন, 'উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের দেখভাল করি (নিজেদের বঙ্গোপসাগরের গার্ডিয়ান বলে উল্লেখ করেছিলেন ইউনুস)। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। এটি চিনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।' বাংলাদেশের সেই মন্তব্য ভালো চোখে দেখেনি ভারত। এই আবহে ভারতের তরফ থেকে বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। এই আবহে 'গার্ডিয়ান' বাংলাদেশের নিজেদেরই মাথায় হাত। এর আগে ইউনুসকে সতর্ক করে দিয়ে মোদী বলেছিলেন, বাংলাদেশের তরফ থেকে যেন এমন কোনও মন্তব্য না করা হয়, যাতে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। তবে এরপরও এই সারজিল আলম ‘মোদীকে ছুড়ে ফেলার’ কথা বলেছিলেন। আর এখন ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে ভারতের সাঁড়াশি চাপে পালটা গলাবাজি করতে শোনা গেল সারজিস আলমকে।