অবসরপ্রাপ্ত সিবিআই ডিরেক্টর এম নাগেশ্বরা রাও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে একটা চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, দুই সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। তাঁদের মধ্য়ে একজন যার বাগদত্তাকে আবার ভরতপুর থানায় শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এই অভিযোগ উঠেছিল।
এম নাগেশ্বরা রাও ছিলেন ওড়িশা ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। তিনি তাঁর চিঠিতে দাবি করেছেন দুজন সেনা অফিসার ভারতীয় সেনার যে নিয়মকানুন রয়েছে সেটা ভঙ্গ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, আর্মি ক্যাপটেন মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তিনি মদ খেয়ে রয়েছেন কি না এটা পরীক্ষা করতে দিতেও তিনি চাননি।
রাও এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, সেনা ক্যাপটেন আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫০ অনুসারে একাধিক অপরাধ করেছেন। অপর এক সেনা অফিসার ওড়িশা হাইকোর্টের চিফ জাস্টিসকে একটা চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য় আবেদন করেছেন।
রাও দাবি করেছেন, আর্মি অফিসার সরাসরি ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি প্রতিরক্ষা দফতর বা সেনার সদর দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি। তিনি সরাসরি বিচার ব্যবস্থার কাছে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
রাও লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এখন জেনারেল কোর্ট মার্শাল অথবা সামারি জেনারেল কোর্ট মার্শাল করতে পারে। দুজন আর্মি অফিসারের বিরুদ্ধে এটা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে একাধিক প্রাক্তন সেনা আধিকারিক ওই প্রাক্তন সিবিআই প্রধানের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল হর্ষ কক্কর জানিয়েছেন, আপনারা কি ভয় পাচ্ছেন এর মাধ্যমে আপনাদের দুর্নীতিগ্রস্ত স্টাফদের কথা সামনে চলে আসবে। কেন মানুষ রাতের বেলা থানায় যায়? কফি খাওয়ার জন্য নয়, সহায়তার জন্য যায়। আপনি কি সত্যকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন!
সেনা অফিসারের বাগদত্তার বাবাও রাওকে একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেন, রাও যখন সিবিআইতে ছিলেন তখন তিনি কী করতেন সেটা সবাই জানেন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার পদক্ষেপ নিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া শব্দ প্রয়োগ করেছিল। আর্মি অফিসারদের কাজকর্ম নিয়ে সার্টিফিকেট দেওয়ার কোনও অধিকার তাঁর নেই।
এদিকে এভাবে আর্মি অফিসারের বিচারপতিকে চিঠি লেখা আবার অন্যদিকে প্রাক্তন সিবিআই কর্তার পোস্টকে ঘিরে নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অনেকেই এনিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে।