শুল্ক যুদ্ধে লিপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এবার একে একে পদক্ষেপ ঘোষণা করতে শুরু করেছে দেশগুলি। এর আগে চিন এবং কানাডা পালটা শুল্কের ঘোষণা করেছে আমেরিকার বিরুদ্ধে। আর এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ নাকি আমেরিকার ওপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার ইইউ কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছে। আগামী ১৬ মে থেকে শুল্ক কার্যকর হবে বলে নথিতে জানিয়েছে ইইউ। (আরও পড়ুন: 'ইজরায়েলকে হারাতে' বাংলাদেশে তাণ্ডব, জুতো🐻 চুরি মৌলবাদীদের, রাতে ঘুম ভাঙল ইউনুসের)
আরও পড়ুন: 'ওস🍷ামা বিন লাদেনপ্রেমী' বাংলাদেশ নিয়ে সতর্কতা জারি আমে🉐রিকার
এর আগে ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের উপর ২০০ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। এরপরই বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে ফ্রান্স ও ইতালির মতো সদস্য দেশগুলো। এই আবহে সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে তারা শূন্য শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে। উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ট্রাম্প ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ির ওপর ২০ শতাংশ বড় শুল্ক আরোপ করেছেন। (আরও পড়ুন: 'গার্ডিয়ান' বাংলাদেশের ম্🌱যাপ বদলে যাবে? বিস্ফোরক উপদেষ্টা, চাইলেন সেনার সাহায্য)
আরও পড়ুন: বিজেপ💜ি নেতার বাড়ির বাইরে বিস্ফোরণ পঞ্জাবে, 🐠তদন্তে নামল পুলিশ
ট্রাম্প বলেন, 'বাণিজ্যিক ভাবে আমেরিকার ক্ষতি করতে গঠন করা হয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি আছে। এই ঘাটতি শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে।' এদিকে শুল্ক নিয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে চিন সিদ্ধান্ত না নিলে বেজিং-এর উপরে আরও ৫০% শুল্ক বসানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই আবহে সব মিলিয়ে চিনা পণ্যে তার হার দাঁড়াবে ১০৪ শতাংশ। এই আবহে আবার বেজিংয়ের বক্তব্য, 'ভুলের উপর ভুল করছে আমেরিকা। আরও এক বার আমেরিকার ব্ল্যাকমেল করার চরিত্রটি প্রকাশ্যে চলে এল।' চিনের সাফ কথা, 'যদি আমেরিকা এই ভাবেই চলার কথা ভাবে, তবে চিনও শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।' (আরও পড়ুন: 'আমি আসছি...', বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ কর্মীদের বড় বার্ত꧟া হাসিনার)
বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর শুল্ক চাপিয়ে নিজের দেশকেই মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে মার্কিন শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল গত সপ্তাহের শেষের দিকে। সেই সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব⭕ক্তব্য ছিল, 'এটাই বড়লোক হওয়ার সময়।' তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য,🤪 'আমার শুল্ক নীতি বদলাবে না।' কিন্তু এতে কীভাবে আমেরিকার লাভ হতে পারে? ট্রাম্পের দাবি, শুল্কের ভরে অন্যান্য দেশগুলি আমেরিকায় রফতানি করার বদলে, সরাসরি সেখানেই কারখানা তৈরি করবে। এতে আমেরিকার অর্থনীতি ফুলে-ফেঁপে উঠতে পারে। তবে জেপি মর্গ্য়ানের মতো সংস্থার তরফ থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, আমেরিকার অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিতে পারে।