পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় তেতে উঠেছে গোটা দেশ। এই ঘটনায় ২৬ জন পর্যটক মারা গিয়েছেন। গুলি করে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। এরপরই পাল্টা পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার দাবি উঠেছে গোটা দেশের নানা প্রান্ত থেকে। আজ নিকেশ করা গিয়েছে বন্দোয়ানে জঙ্গিদের। ইতিমধ্যেই সর্বদলীয় বৈঠক করা হয়েছে নয়াদিল্লির অলিন্দে। তার আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী–সহ শীর্ষ আমলারা। তখন থেকেই প্রত্যাঘাত হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। জম্মু–কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও চলছে সেনাবাহিনীর চিরুনি তল্লাশি। স্থল, জল এবং আকাশ সব পথকেই নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
এদিকে শুক্রবার সকাল তীব্র শব্দ শোনা যায় উত্তরবঙ্গের আকাশে। পর পর উড়ে গেল দুটি রাফাল যুদ্ধবিমান। যা নিয়ে বিস্তর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গে। উত্তরবঙ্গের আকাশপথে এভাবেই প্রাথমিক মহড়া শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বাগডোগরা, হাসিমারার বায়ুসেনা ছাউনিতে তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরবঙ্গের আকাশে রাফাল যুদ্ধবিমান দেখা যেতেই অনেকে আলোচনা শুরু করেছেন। এবার পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে আশা করছেন বহু মানুষ। অসম এবং অরুণাচলের ঘাঁটিতে বাড়তি নজর রাখা হয়েছে। এটা যে সামরিক মহড়া সেটা সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে। হরিয়ানার আম্বলা এয়ারবেস থেকে রাফাল, সুখোই উড়তে দেখা গিয়েছে। এটা একটা রুটিন সামরিক মহড়া।
আরও পড়ুন: শৈলশহরে উলটে গেল টয়ট্রেনের ইঞ্জিন, চালক ও সহকারী চালকের অবস্থা কেমন?
অন্যদিকে এই রাফাল, সুখোই ওড়ার সঙ্গে প্রত্যাঘাতের সম্পর্ক নেই বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু এতদিন উড়ল না এখনই যুদ্ধবিমানগুলি উড়ল কেন? উঠছে প্রশ্ন। এই আবহে ভিসা বাতিল, পুরনো সিন্ধু জলচুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাদের ভারত থেকে সরানো হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে ওয়াঘা–আটারি সীমান্ত। পাল্টা হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানও। জলচুক্তি বাতিলকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য’ বলে ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, ভারত যদি পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দেয় তাহলে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারে চিন। তাই সব দিক ভেবেই পদক্ষেপ করা হবে। যাতে কেউ নাক গলাতে না পারে।
এছাড়া এখন আবার বাংলাদেশও ভারতের বিরোধী। তাই পিছন থেকে তারাও সাহায্য করতে পারে শত্রুপক্ষকে। নাথুলা তো আছেই, বিস্তীর্ণ চিন সীমান্ত ও বাংলাদেশ সীমান্ত দুটোই খুব স্পর্শকাতর। তাই কোনওভাবেই হালকা চালে নেওয়া যাবে না। এই সুযোগে পাকিস্তানের সেনারা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতের উপর আঘাত করতে পারে। সেখানে ভারত রাফাল ও সুখোই–৩০ এমকেআই স্কোয়াড্রন দিয়ে মহড়া সেরে রেখেছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক রাতের অন্ধকারে হবে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। তবে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।