চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়। আর সেখানে গিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল মীনাক্ষীকে। এমনকী গো ব্যাক স্লোগানের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। মূলত আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যের উপর ক্ষোভে ফুঁসছেন চাকরিহারা অনেকেই। এরপর কার্যত চাকরিহারাদের সঙ্গে সেভাবে কথা বলতে না পেরেই ফিরতে হয়েছিল মীনাক্ষীকে।
মূলত চাকরিহারা-রা তাঁদের আন্দোলন থেকে রাজনীতিকে আলাদা রাখতে চান। সেকারণেই তাঁরা মীনাক্ষীর সঙ্গে কথা বলতে চাননি সেভাবে। এর আগে প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে দেখেও গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছিলেন চাকরিহারারা।
তবে মীনাক্ষী আগেই বলেছিলেন, সরকারি স্কুল ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার একটা পরিকল্পনা চলছে। আমাদের অসংখ্য় ছাত্রযুবরা জেল খেটেছে। স্কুলগুলো চলছে না। যারা এখানে বসে আছেন, যারা এখানে বসে নেই তাদের সবার জন্য বলছি।
আর এবার মীনাক্ষীকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখেই খোঁচা দিলেন কুণাল। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আগুনপাখি যদি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন, তাহলে ত্রিপুরায় সিপিএম জমানায় অনিয়মের জন্য পুরো প্যানেল বাতিল হওয়া শিক্ষকদের কাছে যাচ্ছেন না কেন?? ওখানে সিপিএম ডুবিয়ে চলে গেছে। বিজেপি এসেও পাশে থাকেনি। এখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও সরকার পাশে থেকে জট খোলার চেষ্টা করছেন। সহ্য হচ্ছে না? কাল রাতে ওখানে গিয়ে গো ব্যাক শুনে পালাতে হল কেন? আপনাদের উকিলরা চাকরি খাবার কথা বলবেন আর আপনি গিয়ে নাটক করবেন? যান, ত্রিপুরার চাকরিহারা শিক্ষকদের কাছে যান। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলে কথা। ত্রিপুরার শিক্ষকদের জমায়েতে যেতে পা কাঁপছে?