সমবায় সমিতির আর্থিক লেনদেন নিয়ে আগে নানা অভিযোগ উঠেছিল। টাকাকড়ি নয়ছয় হওয়ার অভিযোগও উঠেছে। সেই অভিযোগের একাধিক রিপোর্ট পৌঁছে যায় নবান্নে বলে সূত্রের খবর। তারপরই এই গরমিল ঠেকাতে উদ্যোগী হয় নবান্ন। আর্থিক লেনদেনে তাই স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করতে ‘অনলাইন অডিট ম্যানেজমেন্ট’ চালু করল রাজ্য সরকার। এই ব্যবস্থা সকলের সামনে নিয়ে এসে সমবায় সমিতির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা বাড়াতে চেষ্টা করা হল। সমবায় সমিতি যাতে আর্থিক কেলেঙ্কারির জেরে ডুবে না যায় তাই এমন উদ্যোগ।
গ্রামবাংলার বেশিরভাগ মানুষজন সমবায় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট করে থাকে। সেখানে স্বল্প পুঁজি জমায়। আর সেই পুঁজিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করে থাকে। আর জীবনের প্রয়োজনে কাজে লাগায়। সেসব টাকা যদি দুর্নীতির কারণে নয়ছয় হয় তাহলে সাধারণ গরিব মানুষ বিপদে পড়ে যায়। তাই ‘অনলাইন অডিট ম্যানেজমেন্ট’ ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্যের ২৩ হাজার ৫৭৪টি সমবায় সমিতিকে রক্ষা করল রাজ্য সরকার। আর রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক, ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল সমবায় ব্যাঙ্ক, আরবান সমবায় ব্যাঙ্ক, প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতিগুলির অডিটের উপর কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি করা সম্ভব হবে। তাই আর্থিক কেলেঙ্কারি থেকে বেঁচে যাবে সমবায় ব্যাঙ্কগুলি।
আরও পড়ুন: ‘পূর্ণম সুস্থ ও নিরাপদে আছেন’, বিএসএফের ডিজির সঙ্গে কথা বলে জানিয়ে দিলেন কল্যাণ
সমবায় ব্যাঙ্কগুলি বাঁচলে এবং সঠিক পথে চললে সাধারণ মানুষেরও উপকার হবে। তা না হলে একদিকে লোকসান অপরদিকে বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে সেই ভারে জর্জরিত হতে হবে। এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্য ‘অনলাইন অডিট ম্যানেজমেন্ট’ ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এই বিষয়ে রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা ধরা পড়ে অডিটে। আর নিয়মিত অডিট বাধ্যতামূলক। রাজ্যের সমবায় ব্যবস্থা এখন বড় ব্যাপ্তি পেয়েছে। তাই অনলাইন অডিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রয়োজন। সেটাই সর্বস্তরের সঙ্গে আলোচনা করেই চালু করা হল। যার মাথায় রয়েছে রাজ্যের ডাইরেক্টরেট অফ কো–অপারেটিভ অডিট।’
এই ‘অনলাইন অডিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড তৈরি করেছে। তার জেরে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই সব সমবায় ব্যাঙ্কের লেনদেন সহজে জানা যাবে। দ্রুত মিলবে ব্যালেন্স শিটের তথ্য। অডিট রিপোর্ট থেকে শুরু করে গাইডলাইন এবং নিয়ম দেখা যাবে ক্লিক করলেই। কোনও সমবায় সংস্থার অডিট না হয়ে পড়ে থাকলে অনলাইনে সেখানে সতর্কবার্তা পৌঁছে যাবে। আবার কেন্দ্রীয়ভাবে দেখা যাবে, কাদের অডিট হয়নি।