পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা 'রং দে বাসন্তী'- এর 'লুকা চুপি' গানে কিংবদন্তি সুরকার এ আর রহমান এবং প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে কাজে অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন। রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা জানিয়েছেন করেছেন যে, লতা মঙ্গেশকর গানটি রেকর্ড করার জন্য চেন্নাইতে এআর রহমানের কাছে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি গানটা নিখুঁত করার জন্য সেখানে বহুদিন অনুশীলনও করেছিলেন।
সম্প্রতি O2 India কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে, লতা মঙ্গেশকর গানটি বহু বার রিহার্সাল করেছিলেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, তাঁর মতো গায়িকা জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি এটি রেকর্ড করতে চেন্নাই যেতে পারেন কিনা। তখন রহমান জানিয়েছিলেন যে, তিনি লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে গানটি রেকর্ড করার জন্য মুম্বইয়ে যাবেন। কিন্তু লতা চেন্নাই যাওয়ার উপরই বেশি জোর দিয়েছিলেন। গায়িকার মনে হয়েছিল যে, তিনি রেকর্ডিংয়ের জন্য রহমানের নিজের জায়গায় গেলেই ভালো হবে।
তারপর গায়িকা রেকর্ডিংয়ের তিন দিন আগে পৌঁছেছিলেন চেন্নাইতে। বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি স্টুডিয়োতে গিয়ে রহমানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেখানে তিনি গানটির কম্পোজিশনও শোনেন। তারপর রিহার্সাল করার জন্য একটি ক্যাসেট কপির অনুরোধও করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ৫৬-এ পা দিলেন ববি দেওল! 'আমার লর্ড ববি…' ভাইয়ের জন্মদিনে সানির আদুরে পোস্ট
তবে সবচেয়ে বেশি যেটা জানলে অবাক হবেন তা হল রেকর্ডিংয়ের সময় গায়িকা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই প্রসঙ্গে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা বলেন, 'লতা মঙ্গেশকর চেন্নাইয়ে পৌঁছানোর চতুর্থ দিনের মাথায় গানের রেকর্ডিং ছিল। গায়িকা গানটি গাওয়ার সময় দাঁড়িয়ে গাওয়ার কথাই জানান। তিনি রহমানের সঙ্গে দাঁড়িয়ে গানটি গাইতে শুরু করেন। তারপর টানা ৮ থেকে ১০ ঘন্টা তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন, যতক্ষণ না গানটা শেষ হয়।'
২০২২ সালে ইহলোক ছেড়ে অমৃতলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন লতা মঙ্গেশকর। রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা বিশ্বাস করেন লতা কোথাও যাননি, কারণ তিনি চিরকাল বেঁচে আছেন তাঁর কাজের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: বেদাঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনের মাঝেই বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন খুশি! ‘দুই সন্তান…’ বললেন নায়িকা
প্রসঙ্গত, 'রং দে বাসন্তী' একটি সমালোচনামূলক, বাণিজ্যিক সফল ছবি। ছবিটি ব্যাপক প্রশংসাও অর্জন করেছিল। এটি সেরা বিদেশী ভাষার ছবি হিসেবে ৭৯ তম অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য ভারতের আনুষ্ঠানিক এন্ট্রি হয়ে ওঠে।