Raj Kapoor: 'আনাড়ি'-র অভিনেতার অক্ষত অতীত সূত্র কলকাতায়
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 25 Feb 2025, 04:14 PM ISTRaj Kapoor and his roots in Kolkata: কলকাতার ভবানীপুরে ছাত্রজীবন কেটেছে রাজ কাপুরের। রবীন্দ্রনাথও প্রশংসা করেছিলেন অভিনয়ের।
Raj Kapoor and his roots in Kolkata: কলকাতার ভবানীপুরে ছাত্রজীবন কেটেছে রাজ কাপুরের। রবীন্দ্রনাথও প্রশংসা করেছিলেন অভিনয়ের।
অনেকেই জানেন না ‘ভারতের চার্লি চাপলিন’ নামে খ্যাত অভিনেতার শৈশবের শিকড় রয়েছে কলকাতাতেই। ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে পাঠরত ছিলেন আজকের রাজ কাপুর, 'দ্য গ্রেট শো ম্যান অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা'।
কলকাতায় কর্মজীবনের কিছুটা অংশ কেটেছিল। সেই সময়ে যে ঘরে থাকতেন তা আজও অক্ষত। এমনকি স্কুলের ক্লাসরুমটিরও চেহারা একচুল বদলায়নি।
কাপুরের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে, 'পেইন্টেড মেমোরিজ: ক্যালকাটা কানেক্টস রাজ কাপুর' শীর্ষক ৫০ মিনিটের একটি চিত্র তৈরি হচ্ছে, যা তাঁর কিংবদন্তি জীবন পূর্বের অজানা গল্পগুলি উন্মোচন করবে। থাকছে দেবকী কুমার বোসের 'ইনকিলাব' ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশের গল্পও।
একবার মিত্র ইনস্টিটিউশনের ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে কাপুর ২৫,০০০ টাকার চেক প্রদান করেছিলেন।
মিত্র ইনস্টিটিউশনের ভবানীপুর শাখার প্রধান শিক্ষক রাজা দে জানান, ‘তিনি ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত মিত্র ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ছিলেন। আমাদের স্কুলে, তিনি তখন শ্রীষ্টি নাথ কাপুর নামে পরিচিত ছিলেন। আমাদের প্রতিষ্ঠানের ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে, তিনি একটি চেক পাঠিয়েছিলেন। আমাদের স্মারক পুস্তিকায় তাঁকে আমাদের বিশিষ্ট প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে’।
পরিচালক জয়দীপ মুখার্জি কাপুরের সেই ছাত্রজীবনের সময়টিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন।
‘আমার উদ্দেশ্য বায়োপিক তৈরি করা নয়, বরং রাজ কাপুর এবং কলকাতার অন্যান্য বাঙালি কিংবদন্তিদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা, যারা মুম্বাইয়ে তাঁর সাথে কাজ করেছেন।'
'নির্মল ধর এবং সজল দত্ত আমার চলচ্চিত্রের তথ্যসূত্র সংগ্রহের বিশেষভাবে সাহায্য করেছেন। আমরা সলিল চৌধুরী, মান্না দে, হৃষিকেশ মুখার্জি, হেমন্ত মুখার্জি, শম্ভু মিত্র তৃপ্তি মিত্র এবং রাধু কর্মকারের সাথে কলকাতার যোগসুত্রগুলি খুঁজে পেয়েছি’ জানালেন পরিচালক।
পৃথ্বীরাজ কাপুর যখন পেশোয়ার থেকে কলকাতায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন তখন একটি দীর্ঘ শুটিং হয়েছিল পরিচালক দেবকী বোসের বাসভবন মুদিয়ালিতে। সেই সূত্রে পরিচালকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল পৃথ্বীরাজ কাপুরের।
‘দেবকী বোসের পৌত্র দেবাশিসের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি যে পৃথ্বীরাজ কাপুর 'সীতা' নামে একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পছন্দ করেছিলেন এবং তাঁর বন্ধু দেবকী বোসকে নাটকটির চলচ্চিত্র রূপান্তর করে পরিচালনা করার পরামর্শ দিলে তিনি সম্মতি জানান’,
১৯৩৩ সালে এটি ছবি হিসাবে মুক্তি পায়, যেখানে অভিনয় করেছিলেন পৃথ্বীরাজ কাপুর এবং দুর্গা খোটে’, বললেন পরিচালক জয়দীপ মুখার্জি।
আরও পড়ুন - Ramayana: ‘রাবণ ছাড়া অন্য চরিত্রে অভিনয় করতাম না..’, রামায়ণ প্রসঙ্গে কেন এমন মত যশের?
সীতা' ছিল প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র যা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরষ্কার জিতেছিল। সীতার পরিচালক পৌত্র দেবাশিস জানান, ‘বাবার সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা বারান্দায় বসে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতেন পৃথ্বীরাজ। এক সময় আমাদের বাড়ির নীচতলার করিডোরে ক্রিকেটও খেলতেন তিনি’।
ঋষি কাপুরও তাঁর আত্মজীবনীতে বোস পরিবারের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন।
এই তথ্যচিত্রটি রাজ কাপুরের জীবনের অজানা কাহিনীগুলি তুলে ধরবে এবং কলকাতার সাথে তাঁর গভীর সংযোগের দিকটিতেও আলোকপাত করবে, যা ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।