বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের কোয়েট্টা। ঘটনায় পাকিস্তানি ফ্রন্টিয়ার কর্পসের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে পাকিস্তানে কোয়েট্টার মার্গারেট এলাকার কাছে এই ঘটনা ঘটে যায়। তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। এমনই তথ্য উঠে এসেথে, পাকিস্তানি সংবাদ পত্র ‘দ্য ডন’র রিপোর্টে।
পাক মিডিয়ার একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে , একটি আইইডি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে তা বিস্ফোরণ হতেই ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানের ‘সামা টিভি’র খবর বলছে, ‘সুবেদার শাহজাদ আমিন, নায়েব সুবেদার আব্বাস, সিপাহী খলিল ও সিপাহী জাহিদ’ এর মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। এছাড়াও আহতদের মধ্যে রয়েছেন ল্যান্সনায়েক জাফর, ল্যান্স নায়েক ফারুক সহ অনেকে। আহতদের আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, এলাকায় একটি রাস্তার ধারের জায়গায় ওই আইইডি রাখা ছিল। কে বা কারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তা খুঁজে যাচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের তরফে এই ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের শাস্তির পক্ষে জোরদার সওয়াল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান তার বালোচিস্তান এলাকায় বহুদিন ধরেই বালোচ বিদ্রোহীদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হচ্ছে। কিছুদিন আগে, সেদেশে বালোচ বিদ্রোহীরা অপহরণ করে নেয় পাকিস্তানের আস্ত একটি ট্রেন। সেই সময়ের পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেয়েছে পাক সেনা। এরপর সেদশে বালোচ বিদ্রোহীদের উপর ব্যাপক অত্যাচারের ঘটনা পাকিস্তানের বুক থেকে উঠে আসে। বালোচ বিদ্রোহীদের তরফে পর পর হামলার ঘটনার মাঝে উঠে এল এই নয়া বিস্ফোরণের ঘটনা।
( ২৪ ঘণ্টা পরেই আসছে ভালো সময়! ফিরবে কপাল, স্বয়ং শুক্র কৃপা করবেন কর্কট সহ ৩ রাশিতে)
পাকিস্তানের বালুচিস্তানের কোয়েটার কালাত এলাকায় রাস্তার পাশে বিস্ফোরক রাখা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি ‘কোয়েটা বিস্ফোরণের নিন্দা করেছেন এবং প্রাণহানির জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।’কোয়েটা এলাকায় মাইন বিস্ফোরণের নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি। তিনি ৪ জন মৃত সৈনিকের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান। এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন পাকিস্তানি মন্ত্রী। তাঁর দাবি সেদেশে ‘অস্থিরতা তৈরি করতে’ এমনটা করা হয়েছে।