পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিমকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনায় নীরজ চোপড়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল নেটিজেনরা। পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ারের দেশপ্রেম নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে নেটিজেনরা। এরপর নীরজ জবাব দিয়েছিলেন সমালোচকদের। এবার সোনার ছেলের পাশে দাঁড়ালেন যোগেশ্বর দত্ত।
আর্শাদ ইস্যুতে মুখ খোলেন নীরজ
পহেলগাঁওতে নৃশংসভাবে সাধারণ ভারতীয়দের হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। বলার অপেক্ষা রাখে না, এরা প্রত্যেকেই পাকিস্তানি মদতপুষ্ট। কিন্তু নীরজ চোপড়া ক্লাসিক জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্টের জন্য বর্তমান অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন তথা পাকিস্তানি অ্যাথলিট আর্শাদ নাদিমকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নীরজ। কাশ্মীরে হামলার পর থেকেই নীরজকে এই নিয়ে কটুক্তি শুনতে হয়। যদিও তিনি একদিন আগেই গণমাধ্যমে নিজের জবাব দিয়েছিলেন, জানিয়েছিলেন আর্শাদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কাশ্মীরের ঘটনার আগেই।
নীরজের পরিবারকেও কটুক্তি করা হয়
নীরজ জানিয়েছিলেন, যেভাবে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে কটুক্তি চলছে এবং তাঁদের দেশপ্রেম নিয়েই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তাতে তিনি গভীরভাবে কষ্ট পাচ্ছেন এবং অপমানিত বোধ করছেন। তাঁর মাকে নিয়েও নেটিজেনরা কটুক্তি করতে ছাড়েনি বলে জানান তিনি। সঙ্গে এও বলেন, দেশের জন্য এতদিন যেভাবে নিজের আত্মত্যাগ করে সেবা করে গেছেন, আগামী দিনেও দেশের নাম তিনি বিশ্ব মানচিত্রে উজ্জ্বল করবেন।
দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হবে না
নীরজ চোপড়া, যিনি গত দুবারের অলিম্পিক্সে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। দেশকে প্রথম ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড সোনা এনে দিয়েছেন, দুটি অলিম্পিক্সে পরপর পদক এনেছেন, সেই তাঁকে কিনা নিজের দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়, এই ঘটনায় অত্যন্ত ব্যাথিত ভারতের আরেক অলিম্পিক্সপদকজয়ী যোগেশ্বর দত্ত। ২০১২ অলিম্পিক্স পদকজয়ী এই তারকা বলছেন, নীরজকে অন্তত এখন এসে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হবে না।
নীরজও একজন সৈনিক, বললেন যোগেশ্বর
এমনিতে যোগেশ্বর দত্ত কখনই রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে খুব বেশি কথা বলেন না, তবে যেভাবে সোনার ছেলে নীরজকে অযথা সমালোচনা করা হচ্ছে, তাতে তিনি মুখ খুললেন। যোগেশ্বর বলছেন, ‘নীরজ ভাই তোমায় দেশপ্রেম প্রমাণ করতে হবে না নিজের কাছে বা অন্য কারোর কাছে। একজন অ্যাথলিট আর সৈনিকই হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যারা বিদেশের মাটিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করে ও নিজের দেশের পতাকা ওড়ায়। আর তুমি একজন অ্যাথলিটের পাশাপাশি একজন সৈনিকও। ’।
এরপর নীরজের সমালোচকদের তুলোনধা করে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সের পদকজয়ী লেখেন, ‘যারা তোমায় নিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলছে, তাঁরা অত্যন্ত নিম্ন মানসিকতার ব্যক্তি, আর তাদের দেশপ্রেম নিয়ে বা দেশকে নিয়েও কোনও মাথাব্যথা নেই। তুমি একজন চ্যাম্পিয়ন, আমাদের দেশের গর্ব। এভাবেই এগিয়ে যাও, একজন সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন সবসময়ই সেরা হয় ’।