💧 মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, সুতি। আর সোমবারের ভাঙড়। ভয়াবহ তাণ্ডব দেখেছিল মুর্শিদাবাদ। সোমবার সেই তাণ্ডবের কিছু নমুনা দেখা গেল ভাঙড়েও। ভাঙড়ের বাসন্তী হাইওয়েতে অবরোধ করেছিলেন ওয়াকফ আইনের বিরোধীরা। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরোধ। একটা সময় পুলিশ কার্যত লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেয়। আর তারপরই দেখা গেল শোনপুর বাজার এলাকায় হামলা চালানো হল। সেখানে রাস্তার উপর একের পর এক সিসি ক্যামেরা ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী একাধিক দোকানের সামনে সিসি ক্যামেরা ছিল। সেখানেও পাথর ছোঁড়া হয়েছে।
এভাবে সিসি ক্যামেরা ভেঙে যথেচ্ছ ভাঙচুরের ঘটনায় হতবাক অনেকেই। কারা রয়েছে এর নেপথ্য়ে? তবে কি অত্য়ন্ত ছক কষে পুরো বিষয়টি করা হচ্ছে?
🐭 শোনপুর বাজার এলাকায় একের পর এক গাড়িতে চলে ভাঙচুর। পুলিশের গাড়িতে চলে ভাঙচুর। একের পর এক বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সুতি ♐ধুলিয়ানেও একেবারে একই ধরনের স্টাইল। সুতি ধুলিয়ানের ক্ষেত্রেও সিসি ক্যামেরাকে টার্গেট করা হয়েছিল। আর ভাঙরের ক্ষেত্রেও দেখা গেল তাদের টার্গেট সিসি ক্যামেরা। কিছু সিসি ক্যামেরার মুখ অন্যদিকে ঘোরানো হয়েছে। কিছু ক্যামেরা ভাঙা হয়েছে। তবে সেগুলি বাইকে আগুন ধরানোর আগে কি না সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটা বোঝা যাচ্ছে যে প্রমাণ যাতে না থাকে , ফুটেজে যাতে না ধরে পড়ে সেকারণেই এই ছক। কিন্তু কারা রয়েছে এর পেছনে?
তবে কি আগে থেকে পুরোটা ছক কষা হচ্ছে? যার জেরে এই ভাবে সিসি ক্যামেরা ভেঙে হামলা চালানো হচ্ছে?
এদিকে নওশাদ সিদ্দিকি💜র দাবি, আইএসএএফ সেজে কেউ এসব করছে কি না সেটা দেখা দরকার। আর কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলায় এটা প্রয়োগ হবে না সেটা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলে দিয়েছেন। আইএসএফ কেন দিল্লিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে না?এদিকে অতীতেও নানা ধরনের আন্দোলন হয়েছে বাংলায়। কিন্তু সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিয়ে আন্দোলন সচরাচর দেখা যায় না। সাধারণত দেখা যায় কোথাও অপরাধমূলক কাজ করার আগে দুষ্কৃতীরা সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। আর এবার দেখা গেল ওয়াকফ♔ বিরোধী আন্দোলনে সবার আগে সিসি ক্যামেরা ভাঙা হচ্ছে। এটা কেন? তবে কি আগে থেকে নিজেদের মধ্য়ে এনিয়ে আগে থেকে আলোচনা করার পরেই সব কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?