পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির অফিসিয়াল এক্স🍃 হ্যান্ডেল যাঁরা চালান, সেই ইউজারদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল ক🌜লকাতা পুলিশ। গতকাল (সোমবার - ১৪ এপ্রিল, ২০২৫) কলকাতা পুলিশের তরফে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ হল - ওই ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডেল থেকে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের পক্ষ থেকে স্🅘বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা রুজু করা হয়েছে। কারণ, ওই এক্স হ্যান্ডেল থেকে যেসমস্ত ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছিল, তাতে অশান্তির আবহে বাংলার আমজনতাকে আরও বিভ্রান্ত করা হচ্ছিল।
আসলে এই বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক♔ দিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। রাজ্য বিজেপির অফিসিয়াল এবং ভেরিফায়েড এক্স হ্য়ান্ডেল, দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ভেরিফায়েড সোশাল মিডিয়া অ্য়াকাউন্ট থেকে ন'টি ছবির একটি কোলাজ পোস্ট করা হয়।
সেই পোস্টে দাবি করা হয়, ওই ন'টি ছবির সবক'টিই পশ্চিমবঙ্গের। রাজ্যে বিভিন্ন সময় যখনই কোনও হিন্দু অনুষ্ঠান হয়েছে, তখনই নাকি সেই সমস্🌼ত অনুষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে! ওই ন'টি ছবি তেমনই ন'টি হামলার ঘটনা বলে দাবি করা হয়।
কিন্তু, ♓কলকাতা পুলিশ সেই কোলাজের 'ফ্য়াক্ট চেক' করতেই সত্যি সামনে চলে আসে। জানা যায়, ওই ন'টি ছবির মধ্যে একটিও পশ্চিমবঙ্গের তো নয়ই। বরং, সেখানে এমন কিছু ছবি𝓀ও আছে, যেগুলি আসলে বিজেপিশাসিত কোনও না কোনও প্রদেশের ছবি! এমনকী, সেখানে ভিনরাজ্যের একটি অগ্নিকাণ্ডের ছবিকেও বাংলার হিংসার ছবি বলে দেগে দেওয়া হয়।
এই একই ছবির কোলাজ, যেটি ♑সুকান্ত তাঁর প্রোফাইলে শেয়ার করেছিলেন, পরে সেটি তিনি মুছে দেন। যা নিয়ে তাঁকে সরাꦅসরি তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, আসল কথা জানার পরই সুকান্ত সেটি মুছে দিয়েছেন।
সোমবার এই ঘটনা নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি দাবি করেন, ওই কোলাজে সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের ছবি, লখনউ, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, অসমের ছবি, এমনকী জলন্ধরের একটি অগ্নিকাণ্ডের ছবিও বাংলার হ🌞িংসার ছবি বলে তুলে ধরা হয়!
দেবাংশু সোমবারের ওই সাংবা💦দিক সম্মেলন থেকেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এই ঘটনায় রাজ্যের প🎉ুলিশ প্রশাসন নিশ্চয় আইনি পদক্ষেপ করবে। অবশেষে সেটাই করা হল।
টা🍸ইমস অফ ইন্ডিয়া অনুসারে, বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে🤡 থাকে, তাহলে রাজ্য়ের শাসকদলের আদালতে যাওয়া উচিত। কারণ, এই ধরনের ঘটনা রোখার জন্য যথাযথ আইন রয়েছে।