বিএসএফের থেকে সাহায্য চেয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। তার আগে ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে হামলা চালানো দুষ্কৃতীদের ভয়ে পুলিশকে পালাতে দেখা গিয়েছিল। তবে মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকেই বিএসএফের ঘাড়ে দোষ চাপাতে শুরু করেছিলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। আর আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে বিএসএফের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুর্শিদাবাদের হামলাকারীদের 'বিজেপির লোক' বলে আখ্যা দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলন, ‘বিএসএফ কাকে কাকে হাত করেছে। কিছু বাচ্চা ছেলেকে ৫-৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ইট ছুড়িয়েছে।’ (আরও পড়ুন: 🐲'গোদি মিডিয়ার' ঘাড়ে বন্দুক রেখে ওয়াকফ হিংসা নিয়ে 'খেলা ঘোরাতে' চাইলেন মমতা?)
🧔মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'গতকাল আমি এএনআই-এর একটি টুইট দেখেছি যেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে যে বাংলাদেশ এর (মুর্শিদাবাদ সহিংসতা) সাথে জড়িত। যদি এটি সত্য হয়, তাহলে এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। সীমান্তের দেখাশোনা করে বিএসএফ, রাজ্য সরকার নয়। কেন বিজেপির লোকদের বাইরে থেকে এসে গোলমাল করতে এবং পালিয়ে যেতে দেওয়া হল?'
ಌউল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এলাকায় এখন বিএসএফ টহল দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের রানিপুরের জাফরাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলেকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ি ও টোটো। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার ফোন করা হলেও পুলিশ আসেনি।
𓃲এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলে লুটপাট চালানো হয়। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হয় বিধায়ককে। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ।