ডাক্তারদের হাতের লেখা নিয়ে অনেকেই হামেশাই ঠাট্টা করে থাকেন। অনেকেই মজার ছলে অনুযোগ করেন যে হাতের লেখাটা পড়া যাচ্ছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম অসংখ্য মিম, ভিডিয়োও ছড়িয়েছে। আর সেই বিষয়টি নিয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী) সঙ্গে মাঝেমধ্যেই মজা করতেন বলে জানালেন অপর এক জুনিয়র ডাক্তার। তরুণীর হাতের লেখা এতটাই ভালো ছিল, তিনি মজা করে বলতেন যে একদম ডাক্তারদের মতো হাতের লেখা হচ্ছে না। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক জুনিয়র ডাক্তার বলেছেন যে ‘আমি হামেশাই ওর দারুণ হাতের লেখা নিয়ে মজা করতাম। বলতাম যে একেবারে ডাক্তারদের মতো নয় হাতের লেখাটা।’
স্নাতক স্তরের শিক্ষকরাও মুগ্ধ ছিলেন তরুণীর হাতের লেখায়
তবে শুধু আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা নন, তরুণী চিকিৎসক স্নাতক স্তরে যেখানে পড়াশোনা করতেন, সেখানকার শিক্ষকরাও তাঁর হাতের লেখায় মুগ্ধ হয়েছিলেন। ওই মেডিক্যাল কলেজের এক শিক্ষক জানিয়েছেন যে তরুণীর কাছে ডাক্তারি শুধুমাত্র একটা কেরিয়ার বা পেশা ছিল না। ডাক্তারির সঙ্গে তাঁর আবেগ জড়িত ছিল। পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিলেন। অন্য কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তরুণীও হতাশ হয়ে পড়তেন। আর হাতের লেখা তো দুর্দান্ত ছিল।
রোগীদেরও পছন্দেরও ছিল তরুণী চিকিৎসক
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের সহপাঠীরা জানিয়েছেন যে রোগীদের অত্যন্ত ‘ফেভারিট’ ছিলেন। রোগীদের সঙ্গে একেবারে নিজের পরিবারের মতো ব্যবহার করতেন। তাঁদের কথা শুনতেন। কেউ যদি কোনও হতাশায় ভুগতেন, তাহলে তাঁকে সহযোগিতা করতেন। তরুণী চিকিৎসক তাঁদের টিপস দিতেন বলেও জানিয়েছেন তাঁর সহপাঠীরা।
আরও পড়ুন: RG Kar Corruption: ‘মর্গেও মধু!বেওয়ারিশ লাশ কেটেও বেচে দিত,’ কেন আরজি কর ছাড়তে চাইতেন না সন্দীপ?
কর্মবিরতি প্রত্যাহার নয় RG কর হাসপাতালে
দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আর্জি জানালেও রবিবার আরজি করের আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন যে তাঁরা এখনও কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। কারণ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলেও তাঁরা সুরক্ষিত বোধ করছেন না।
সেইসঙ্গে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন যে সিবিআইয়ের উপরে তাঁদের আস্থা আছে। তবে একটি ক্ষমতাশালী চক্র সক্রিয় আছে। যা তদন্তে বাধা তৈরি করছে। এমনকী পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যভবনও সেই চক্রের সামনে অসহায় বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। সেইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও আন্দোলনকারীরা উষ্মাপ্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: আরজি করে রাজ্যের পদক্ষেপে অখুশি, মমতার হাত থেকে নেওয়া বঙ্গরত্ন ফেরালেন শিক্ষক