সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার মামলায় সিবিআইয়ের কাছে তদন্ত রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। বছরখানেক আগের সেই মামলাতেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: কারাবাসের বর্ষপূর্তিতে ইডির সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা খেল সন্দেশখালির শাহাজাহান
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে। সেই মামলায় এদিন সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, এই মামলায় বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তার ভিত্তিতে এই সমস্ত তথ্য জানতে চেয়ে তদন্ত রিপোর্ট সিবিআইকে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি। রেশন দুর্নীতিকান্ডের তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা গত বছরের ৫ জনুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন। সেই সময় শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এরপরে গা ঢাকা দেন শাহজাহান। সেই সময় ইডির উপর হামলা ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনীতিতে। রাজ্য পুলিশকে কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল। পরে রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গোপন ডেরা থেকে খুঁজে বার করে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় শাহজাহানকে। তখন থেকেই জেলে আছেন শাহজাহান।
এর আগেও একাধিকবার আদালতের কাছে জামিন চেয়েছেন শাহজাহান। কিন্তু, প্রতিবারই তাঁর জামিন নাকচ করেছে আদালত। সম্প্রতি ফের জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শাহাজাহান। সেই মামলায় তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, ১৫ মাস ধরে তিনি জেলে আছেন। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে এখনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই শাহজাহানকে অবিলম্বে জামিন দেওয়া উচিত। যদিও সিবিআইয়ের তরফে জামিনের বিরোধিতা করে জানানো হয়, এই মামলায় তদন্তে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। শীঘ্রই সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে পেশ করবে তারা।
প্রসঙ্গত, ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার পরেই শাহজাহানের একের পর এক কীর্তি ফাঁস হয়। তেতে ওঠে সদেশখালি। তারপরেই খবরের শিরোনামে আসে সন্দেশখালি। জমি দখল করার পাশাপাশি খুনের অভিযোগ, স্থানীয় মহিলাদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগও সামনে আসে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। জাতীয় স্তরের নেতারা তার প্রতিবাদে সরব হন।