শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে ১১ এপ্রিল বৈঠক করেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। দীর্ঘ তিন ঘণ্টার সেই বৈঠকের পর চাকরিহারারা জানাচ্ছেন, সরকারের ওপর 'ভরসা' রাখছেন তারা। তবে এরই সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে এসএসসি ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ অবস্থান তাঁরা তুলে নিয়েছেন। এর বদলে শনিবার থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসবেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মনে কিছুটা আশা জাগলেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না। এই আবহে চাকরিহারাদের স্পষ্ট বক্তব্য, যতক্ষণ না যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে এবং ২০১৬ সালের পরীক্ষায় বসা ২২ লাখ চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হচ্ছে ততক্ষণ প্রতিবাদ প্রত্যাহার করবেন না তাঁরা। এরই সঙ্গে ১৬ এপ্রিল থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরেও অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন ১৫০ জন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা। (আরও পড়ুন: ওয়াকফ তাণ্ꦉডব ঠেকাতে BSF-এর 🏅শরণাপন্ন প্রশাসন, কী বলল সীমান্তরক্ষী বাহিনী?)
আরও পড়ুন: 🍎গোপন আলোচনা হয় রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর, মুর্শিদাবাদ🐎 হিংসার পর মুখ্যসচিব বলেন…
ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকের পরে আন্দোলনকারী এক চাকরিহারা শিক্ষক বলেন, 'আমরা যোগ্য ও অযোগ্য়দের তালিকা প্রকাশ করার কথা বলেছি। তারা বলেছেন পরের রবিবারের মধ্যে যোগ্য ও অযোগ্য তালিকা তৈরি করবেন। সোমবার সেটা পাবলিশ করবে বলে জানিয়েছেন। তবে সেটা আইনি পরামর্শের মাধ্যমে পাবলিশ করবেন। ২২ লাখ ওএমআর পাবলিশ করার কথা বলেছি। তারা বলেছেন আইনি পরামর্শ নেবেন। সমস্যা না থাকলে সেটা পাবলিশ করবেন। সিবিআই এসএসসির কাছে মিরর ইমেজ জমা দিয়েছে। সেটা প্রকাশ করবে।' (আরও পড়ুন: ও🔯য়াকফ প্রতিবাদের নামে তৃণমূল সাংসদের অফিস ভাঙচুর, খলিলুরকে ঘিরে ধরে গালিগালাজ!)
এদিকে বৈঠকের পরে ব্রাত্য বসু বলেন, 'যোগ্য ও অযোগ্যর তালিকা আমাদের কাছে আছে। এসএসসি তিনবার হলফনামা দিয়ে আদালতে জানিয়েছে। সেই তালিকা ওয়েবসাইটে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আপত্তি নেই। কোনও অসুবিধা নেই। আমি এসএসসিকে জিজ্ঞাসা করেছি। এসএসসিরও কোনও অসুবিধা নেই। যোগ্য অযোগ্য়র যে তালিকা আছে সেটা তারা তুলে দিতে পারেন। সেখানে সমস্যা নেই। সপ্তাহ দেড়েক দুয়েকের মধ্যে এটা করা যাবে, আইনি পরামর্শ যা নেওয়া হচ🅠্ছে। বিরোধীদের তৈরি করা ন্যারেটিভে পা দেবেন না। মিরর ইমেজ নিয়ে আইনি পরামর্শ নেব। সেটা সম্ভব হলে তুলে দিতে অসুবিধা নেই।' এদিকে ব্রাত্য দাবি করেন, শিক্ষকরা তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁরা অনশনে বসছেন না। এরপর তিনি বলেন, 'একটা ছোট অংশ, যারা রাজনৈতিকভাবে দলীয়ভাবে যুক্ত তাদের মনে হয়েছে এই অনশন, ধর্না করতে হবে। তাদের উপরেও কোনও রাগ নেই। তবে অনশন কর্মসূচি একটি লিমিটেড অংশ করছেন। তবে যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছি সেটা যদি রাখতে না ♉পারি তবে সত্যি তাঁদের আন্দোলনে থাকা উচিত। তবে তাঁদের আবেদন করব যে দাবিগুলি আপনারা রেখেছেন সেটা আইনি পরামর্শ নিয়ে আমরা রাখার চেষ্টা করব।'