কেউ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না, কেউ ফেটে পড়লেন করুণ আর্তনাদে। সামনে রাজ্যপালকে পেয়ে মুর্শিদাবাদের বিধ্বস্ত 🧸এলাকার মানুষ, জানালেন নানা দাবি, দাওয়া, বক্তব্য। শুনলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার তিনি গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের হিংসায় বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে। সেখান থেকে ঘুরে এসে সংবাদ সংস্থা এঅনআইকে দেওয়া সা♔ক্ষাৎকারে রাজ্যপাল বলেন,' যা ঘটেছে তা বর্বরোচিত।'
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল বলেন,' যা ঘটেছে তা বর্বরোচিত। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে। মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। আমাদের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে হবে সেখানে। এটা মানুষকে বোঝাতে হবে যে তাঁদের নিরাপত্তা দিতে কেউ রয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।' রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বহুবিধ দাবি দাওয়া উঠে আসতে শুরু করছে। তবে তারমধ্যে অন্যতম হল, বিএসএফ ক্যাম্প। রাজ্যপাল তাঁর বক্তব্যে বলেন,'💝সাধারণ মানুষ একাধিক দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের প্রথম দাবি, ন্যায় চাই। দ্বিতীয় দাবি, শান্তি চাই। তৃতীয় দাবি, স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প।'দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন,' একজন রাজ্যপাল হিসাবে আমার যা করণীয় আমি করছি, করব। এটাই আমার কর্তব্য। আমি বাংলার মানুষের সঙ্গে আছি।' এদিন জাফরাবাদে যে পরিবারের বাবা ও ছেলের খুন হয় হিংসার জেরে, সেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল জানিয়েছেন দুর্গতদের কাছে তিনি পিসরুমের নম্বরও দিয়েছেন।
মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান বাজারে মানুষের সঙ্গে কথা বলার পর রাজ্যপাল বলেন,'আমি তাঁদের (ভুক্তভোগীদের) আমার সাথে নির্দ্বিধায় কথা বলতে বলেছি। তাঁরা ন্যায়বিচার চান, এবং তাঁরা ন্যায়বিচার পাবেন।' বক্তব্যের মাঝেই রাজ্যপালের কণ্ঠে উঠে আসে আশার বার্তা। তিনি বলেন,'আমি আ♍শাবাদী, অন্ধকার কেটে যাবে, আলো আসবেই।' উল্লেখ্য, রাজ্য়পাল বোস ছাড়াও এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি টিমও পরিদর্শন করে মুর্শিদাবাদের দুর্গতদের এলাকা।