নিলামের টেবিলে নিয়ম করে উপস্থিত থাকেন। গ্যালারিতে হাজির থাকেন প্রতি ম্যাচেই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মালকিন কাব্য মারান দল গড়া থেকে ক্রিকেটারদের উদ্দীপ্ত করা, সবেতেই সদা তৎপর। সানরাইজার্সের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেখায় কাব্যকে। আবার দল ব্যর্থ ♏হলে হতাশা স্পষ্ট ফুটে ওঠে সানরাইজার্স মালকিনের চোখেমুখে।
এহেন কাব্য মারান রবিবার স্♏বাভাবিকভাবেই উপস্থিত ছিলেন উপ্পলের গ্যালারিতে। রবিবার রাজীব গান্🍨ধী স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২৫-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও গুজরাট টাইটানস। তবে এই ম্যাচে হায়দরাবাদ দলের গেম প্ল্যান নিয়ে দৃশ্যতই অখুশি দেখায় তাদের মালকিনকে।
আসলে অতি আগ্রাসী ব্যাটিং কৌশলে গতবছর বাজিমাত করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যদিও ফাইনালে কেকেআরের কাছে হারতে হয় তাদের। এবছরও সেই এই মেজাজে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। নিলামের আগেই গতবারের সফল তারকাদের স্কোয়াডে ধরে রেখেছিল সানরাইজার্স। নিলাম থেকে ইশান কিষানের মতো মারকুটে ব্যাটারকে দলে নিয়ে নিজেদের আক্রমণের ঝাঁ♚ঝ আরও বাড়িয়ে নেয় এসআরএইচ।
আই♔পিএল ২০২৫-এর শুরুতেই রাজস্থান রয়্যালসকে আগ্রাসী ক্রিকেটে ছিন্নভিন্ন করে সানরাইজার্স। তবে তার পরেই বুমেরাং হয়ে হায়দরাবাদ শিবিরেই আঘাত করে তাদের আগ্রাসী ব্যাটিং কৌশল। আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকলে ব্যাটারদের আউট করার সুযোগও বেশি থাকে বোলারদের সামনে। তাই হায়দরাবাদ শুরুতেই পরপর উইকেট হারালে, সেই ধাক্কা সামলে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না তাদের পক্ষে।
ফলে লখনউ, দিল্লি, কেকেআর ও গুজরাটের কাছে পরপর চারটি ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয় সানরাইজার্সকে। যে দল এবছর ৩০০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল, তারা রবিবার ঘরের মাঠে দেড়শো টপকেই হাল ছাড়ে। পালটা ব্যাট করতে নামা গুজরাটের পক্ষে ছোটখাটো টার্গেটে পৌঁছে জয় তুলে নেও�🏅�য়া বিশেষ অসুবিধার হয়নি।
রবিবার সানরাইজার্সের অহেতুক আগ্রাসী মেজাজটাই হয়তো পছন্দ হয়নি কাব্য মারানের। সেটা তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজেই পরিষ্কার। তিনি একসময় নিজের মনেই হাত দিয়ে বোঝাতে চান যে, এবার একটু ধীরে খেলা দরকার। তবে তার পরেও সানরাইজার্স উ🐻ইকেট খোয়াতে থাকায় বিরক্ত দেখায় মারানকে। তিনি নি♋জের বিরক্তি লুকিয়েও রাখেননি।
আসলে গুজরাটের বিরুদ্ধে ট্র্🎶যাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা সস্তায় আউট হওয়ার পরেই হতাশ হয়ে পড়েন কাব্য মারান। ইনিংসের শুরুতেই অভিষেকদের অবিবেচকের মতো নিজেদের উইকেট ছুঁড়ে দেওয়া একেবারেই পছন্দ হয়নি হায়দরাবাদ মালকিনের।