মুল্লানপুরে ঝড় ওঠার আশা করেছিল পঞ্জাব কিংস। শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটে চার-ছয়ের বন্যা দেখার আশায় ছিল প্রীতি জিন্টার দলের সমর্থকেরা। প্রাক্তন দলকে ঘরের মাঠে পেয়ে, পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক মনের সুখে হাত খুলে পেটাবেন, এমনই ভাবনা ছিল তাঁদের। কিন্তু সেগুড়ে বালি ঢাললেন হর্ষিত রানা। শ্রেয়সের বুকের জ্বালা কমানোর সুযোগ দিলেন না কলকাতা নাইট রাইডার্সের তরুণ বোলার। এদিন শ্রেয়স ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ 🅰বল খেলেন। তাঁর সংগ্রহ শূন্য। প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে খালি হাতে সাজঘরে ফিরতে হয় শ্রেয়সকে।
জ্বালা মিটল না শ্রেয়সের
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আইপিএল ২০২৫-এর হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে শ্রেয়সের লড়াইটা নিঃসন্দেহে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে একটু বিশেষ ছিল। গত মরশুমে তাঁর 🧸নেতৃত্বে কেকেআর আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়াꦰর পরেও যোগ্য মর্যাদা পাননি তিনি। উল্টে এই মরশুমে তাঁকে উপেক্ষা করেছেন নাইটরা। তাঁকে ধরে রাখার চেষ্টা করেনি।
আরও পড়ুন: KKR-এ☂র বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেই ICC-র থেকে বড় পুরস🔥্কার পেলেন PBKS অধিনায়ক শ্রেয়স
শ্রেয়স এই মরশুমে পঞ্জাব কিংসে অধিনায়ক হিসেবে যোগ দেন। একদা ঘরের দল এখন তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ। কিন্তু সেই কেকেআর-এর বিরুদ্ধেই মনের জ্বালা মিটিয়ে ব্যাট ক🍎রতে পারলেন না শ্রেয়স আইয়া𒁃র। একরাশ ব্যর্থতার বোঝা কাঁধে নিয়ে তাঁকে ফিরে যেতে হল সাজঘরে। এদিন যেন আরও বেশি করে ক্ষতবিক্ষত হলেন শ্রেয়স। আর এর জন্য দায়ী হর্ষিত রানা।
ম্যাচের রং বদলালেন রানা
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট 🃏করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। আর পিবিকেএস-এর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বল করতে এসেছিলেন হর্ষিত রানা। তাঁকে প্রথম বলেই লম্বা ছক্কা হাঁকিয়ে স্বাগত জানান প্রিয়াংশ আর্য। কিন্তু সেই ছয় হজম করে নিতে পারেননি রানা। পরের বলেই তিনি প্রিয়াংশকে আউট করে বদলা নেন।
প্রিয়াংশ এদিন নিজের আগ্রাসী মেজাজ বজায় রেখেই খেলছিলেন। ১৯ বলে ৩৯ রান করে ফেলেছিল পঞ্জাব কিংস। সেই সময়ে প্রিয়াংশকে আউট করেন রানা। একেবারে মোক্ষম সময়ে প্রিয়াংশের উইকেটটি তুলে নেন রানা♛। লেন্থ ডেলিভারিটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করছিল, প্রিয়াংশ ফ্লিক করেছিলেন কিন্তু সেই শটটা ততটা জোরালো ছিল না। রমনদীপ বাউন্ডারি লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে ক্যাচ নেন। ১টি ছক্কা, ৩টি চারের হাত ধরে ১২ বলে ২২ করে সাজঘরে ফেরেন পঞ্জাবের তরুণ ব্যাটার।
প্রিয়াংশ আউট হতে, তিন নম্বরে ব্যাট করতে ক্রিজে আসেন শ্রেয়স আইয়ার। নিজের𓄧 খেলা প্রথম বলে রান পাননি। দ্বিতীয় বলেই তাঁকে ফেরান হর্ষিত রানা। শ্রেয়স যে বলে আউট হয়েছেন, সেটা যে বিশা হাইফাই বল ছিল তা নয়। রানার বলে ডিপ থার্ডের দিকে ক্যাচ তুলেছিলেন শ্রেয়স। ছুটে এসে এই ক্যাচটিও ধরেন রমনদীপ। দুর্দান্ত ক্যাচটি নেন রমনদীপ। এই ওভারে রানা-রমনদীপ জুটিতে ২ উইকেট তুলে নেয় পঞ্জাব কিংসের। আর এই চতুর্থ ওভারটাই ম্যাচের রং বদলে দেয়। এই ওভারেই হর্ষিত রানা ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে পঞ্জাবকে প্রবল চাপে ফেলে দেয়।