পাকিস্তান ক্রিকেটকে পেস বোলারদের আঁতুড়ঘর বলা হয়ে থাকলেও ভারতীয় ক্রিকেটে তেমন ছবি দেকা যায় না। ভারতীয় ক্রিকেটে তেমন পেসারকে দেখাই যায় না। আর যারা এসেছেন, তাদের অনেকেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গতি হারিয়ে ফেলেছেন। মুনাফ প্যাটেলের সবথেকে বড় উদাহরণ। তিনি শুরু করেছিলেন ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টার কাছাকাছি গতিতে বল করে পরে ধীরে ধীরে সেই গতি হারিয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ের কথꦺা বললে উমরান মালিকের উদাহরণ আছে। তিনি ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের সম্ভাব্য পরবর্তী গতিময় তারকা। এ𒉰কটি দুর্দান্ত মরশুমের পরে তিনি প্রায় হারিয়ে যান।
সত্যি বলতে, নব্বইয়ের দশকে শ্রীনাথ এবং পরবর্তীতে জসপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ শামি ছাড়া আর কোনও ভারতীয় পেসার ধারাব𓃲াহিকভাবে গতি বজায় রেখে দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল হতে পারেননি। জাহির খান, ইরফান পাঠান তাঁরাও শুরু করেছিলেন উদ্দীপ্ত গতিতে, কিন🐻্তু ইনজুরি ও দীর্ঘ কেরিয়ারের জন্য তাঁদের ফোকাস ছিল বেশি নিয়ন্ত্রণের দিকে, গতি নয়।
এই অবস্থায়, ভারত অরুণের বিখ্যাত পাঁচ পেসার সবকিছু পাল্টে দেয়। বুমরাহ, শামি, মহম্মদ সিরাজ, ইশꦦান্ত শর্মা এবং উমেশ যꩲাদব। তাঁরা গতি বাড়িয়েছেন, তীব্রতাও এনেছেন বোলিংয়ে। এদের পারফরম্যান্স ভারতের বিদেশের মাঠে সাফল্যে বিশাল ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বিরাট কোহলি রবি শাস্ত্রী যুগে।
আরও পড়ুন … মেসির পাস থেকে গোল করবেন রো🦄নাল্ডো! তেভেজের বিদায়ী ম্যাচে স্বপ্নপূরণ হবে বিশ্বের?
নিজের গতি নিয়ে কী বললেন ভুবনেশ্বর কুমার?
তবে এর মধ্যে একটি নাম হল ভুবনেশ্বর কুমার, তাঁকে যথা♒যথ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ২০১২-১৩ সালে পাকিস্তানের ব্যাটারদের স্টাম্প উড়িয়ে দেওয়া সেই ‘ব্যানানা সুইং’ কেউ ভুলতে পারেননি? ভুবনেশ্বর কুমার সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘২০১৫-১৬ সালে আমার গড় গতি ছিল ১৩০-১৩২ কিমি। এরপর সেটা বেড়ে ১৩৭-১৩৮ হয়ে যায়। ৮-১০ কিম🔯ি গতি বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সত্যি বলতে আমি জানি না কীভাবে এটা হয়েছিল। আমি কখনও চেষ্টা করিনি গতি বাড়ানোর। সকলেই বলত, জিমে যাও, ট্রেনিং করো। কিন্তু সকলেই তো এসব করে! যদি এতটাই সহজ হতো, তাহলে সকলেই পারত।’
আরও পড়ুন … ভি💙ডিয়ো: ‘কিং কার লেগা’- বাবরের পাশে দাঁড়িয়ে সমালোচনার মুখে পাকিস্তানের পেসার! অবশেষে ক্ষমা চাইলেন
ভুবির কেরিয়ারে শঙ্কর বসু ফ্যাক্টর
ভুবনেশ্বরের মতো আরও অনেক ভারতীয় পেসার তাঁদের উন্নতির জন্য শঙ্কর বসুকে কꦡৃতজ্ঞতা দিয়ে থাকেন। ভারতের প্রাক্তন ট্রেনার, যিনি বর্তমানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে যুক্ত। বিরাট কোহলিসহ বহু ক্রিকেটারই বলেছেন, শঙ্কর বসুর ফিটনেস মেথড তাদের ඣজীবনের সেরা ফিজিক্যাল কন্ডিশনে পৌঁছে দিয়েছে।
আরও পড়ুন … কোচের সঙ্গে ঝামেলা! Super Cuဣp 2025-এর আগেই ক্লেটনকে লাল কার্ড দেখাল ইস্টবেঙ্গল
আবার কি গতি ফিরে পাবেন ভুবনেশ্বর কুমার?
ভুবনেশ্বর কুমার এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের ট্রেনার ছিলেন শঙ্কর বসু। উনি একটা নতুন ট্রেনিং এনেছিলেন ‘পাওয়ার ট্রেনিং’। আমি ওটা শুরু করলাম। এর পাশাপাশি বোলিংয়েও কিছু পরিবর্তন এনেছিলাম। সব মিলিয়ে কাজ করল। কিন্তু কেউ যদি আজ বলে আবার ওই গতি ফিরে আনো, প🦋ারব না। এটা ছিল একসঙ্গে অনেক কিছুর সমন্বয়—শরীরের পরিপক্বতা, বয়স, অভিজ্ঞতা সব মিলেই এটা সম্ভব হয়েছিল। আমি যখন শুরু করেছিলাম, বয়স ছিল ২১-২২। এরপর ২৫ হলে শরীরও তৈরি হতে🌌 থাকে।’ এইভাবেই ভুবনেশ্বর কুমার এক নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন ভারতীয় পেস বোলিংয়ে—শুধু সুইং নয়, গতি নিয়েও।