চিনের ওপর ১০৪ শতাংশের শুল্ক আরোপ করছে আমেরিকা। এই আবহে 'মার্কিন শুল্কের অপব্যবহার' রুখতে ভারতের সাহায্য চাইল চিন। একসঙ্গে মার্কিন শুল্ক জুজুকে প্রতিহত করার আহ্বান জানাল বেজিং। ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন যে চিনের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং শক্তিশালী উৎপাদন ভিত্তি বাকি বিশ্বের জন্য ইতিবাচক পরিসর তৈরি করেছে। তিনি বলেন, চিন-ভারত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পারস্পরিক সুবিধার ওপর প্রতিষ্ঠিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের অপব্যবহারে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলি তাদের উন্নয়নের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে একত্রিত হওয়া উচিত বিশ্বের দুই বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশের। বাণিজ্য ও শুল্ক যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হয় না। সব দেশের উচিত সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতার পথ অনুসরণ করা। (আরও পড়ুন: কল্যাণের 'কুকথায়' ཧনাকি কেঁদে ফেলেছিলেন মহু🐟য়া, দাবি তৃণমূলেরই সাংসদের)
আরও পড়ুন: মঙ্গলে ওয়াকফ নিয়ে হিংসার পর ꦑএখন কেমন আছে জঙ্গিপুর? দেখুন স্পটের ভিডিয়ো
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লেখেন, 'স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে, এমন একটি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত চিনা অর্থনীতি। গোটা বিশ্বের ওপর আমাদের অর্থনীতি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ক্রমাগত আপগ্রেডেড শিল্প ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে চিনা উৎপাদন। গবেষণা, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনের উপর একটি শক্তিশালী ফোকাসের উপর নির্মিত আমাদের অর্থনীতি। অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন এবং বহুপাক্ষিকতার দৃঢ় সমর্থক চিন। এই বহুপাক্ষিকতাই বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্তিশালী প্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা রক্ষার জন্য বাকি বিশ্বের সাথে কাজ চালিয়ে যাব।' (আরও পড়ুন: যোগীর দেখানো পথে মমতা,🦩 পুলিশের DG নি❀য়োগের নিয়মে বড় বদল নবান্নের)
আরও পড়ুন: 'কা কা ছি ছি গাওয়া মানুষটা…', ওয়াকফ নিয়ে তপ্ত জঙ্গিপুর, তোপ মমতার ব🔯িরদ্ধে
এদিকে দাবি করা হয়েছে, চিনা পণ্যের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কের ফলে অ্যাপল তাদের আইফোন উৎপাদনের বেশিরভাগই ভারতে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। ২০১৭ সাল থেকে অ্যাপল ভারতে আইফোন একত্রিত করার কাজ করছে। অবশ্য অ্যাপলের হয়ে এই কাজ করে অংশীদার সংস্থা। মার্চের শেষ সপ্তাহে নাকি অ্যাপলের তরফ থেকে পাঁচটি বিমানে ভরে ভারত এবং চিন থেকে আইফোন এবং অন্যান্য গ্যাজেট উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমেরিকায়। উল্লেখ্য, মার্চে আমদানি করা পণ্যের ওপর আমেরিকা শুল্ক চাপায়নি। (আরও পড়ুন: ইউনুসဣের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা ডোভালের, বৈঠক নিয়ে রহস্য বাড়া𓂃লেন বাংলাদেশের খলিলুর)
এদিকে মার্কিন শুল্ক আরোপের আগেই আমেরিকাকে তোপ দেগে চিন বলেছিল, 'ভুলের উপর ভুল করছে আমেরিকা। আরও এক বার আমেরিকার ব্ল্যাকমেল করার চরিত্রটি প্রকাশ্যে চলে এল।' চিনের সাফ কথা, 'যদি আমেরিকা এই ভাবেই চলার কথা ভাবে, তবে চিনও শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।' প্রসঙ্গত, বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর শুল্ক চাপিয়ে নিজের দেশকেই মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে মার্কিন শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল গত সপ্তাহের শেষের দিকে। সেই সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল, 'এটাই বড়লোক হওয়ার সময়।' তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, 'আমার শুল্ক নীতি বদলাবে না।' কিন্তু এতে কীভাবে আমেরিকার লাভ হতে পারে? ট্রাম্পের দাবি, শুল্কের ভরে অন্যান্য দেশগুলি আমেরিকায় রফতানি করার বদলে, সরꦛাসরি সেখানেই কারখানা তৈরি করবে। এতে আমেরিকার অর্থনীতি ফুলে-ফেঁপে উঠতে🐈 পারে। তবে জেপি মর্গ্য়ানের মতো সংস্থার তরফ থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, আমেরিকার অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিতে পারে।