♉ নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ভারতের একটি সরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থা (যা একটি ব্রিটিশ সংস্থারও অংশ) নাকি রাশিয়ার একটি অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল! বিষয়টি নজরে আসতেই ভারতের সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র মারফত স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদনে 'তথ্যগত ভুল' খবর পেশ করা হয়েছে। এবং ওই প্রতিবেদনটিকে 'বিভ্রান্তিমূলক' বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ, ২০২৫) সংশ্লিষ্ট সূত্র মারফত এই বার্তা দেওয়া হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদনে এই তথ্য সামনে এসেছে।
ꩲসংশ্লিষ্ট মার্কিন সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ওই ব্রিটিশ সংস্থা থেকে ভারতীয় সংস্থাটিকে যে সামরিক হার্ডওয়্যার পাঠানো হয়েছিল, তা পরবর্তীতে হয়তো রুশ সরকারি সংস্থা রোসোবোরোনেক্সপোর্ট-এর হাতেও পৌঁছে যেতে পারে।
ꦿএই রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ করে ভারতের সরকারি সূত্র মারফত পালটা বলা হয়েছে, ওই প্রতিবেদনে 'একটি রাজনৈতিক ন্য়ারেটিভের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করে একাধিক ইস্যু তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে এবং সত্যের অপলাপ করা হয়েছে।'
🥀সূত্রের তরফে আরও বলা হয়েছে, 'ওই প্রতিবেদনে যে ভারতীয় সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা কৌশলগত বাণিজ্য়িক নিয়ন্ত্রণ ও সর্বশেষে থাকা ব্যবহারকারী সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির সমস্ত আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই কাজ করছে।'
꧃সূত্রের পক্ষ থেকে আরও স্পষ্ট করা হয়েছে যে - 'কৌশগত বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের কঠোর আইনি এবং নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নিয়মাবলী, ভারতীয় সংস্থাগুলিকে বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বদাই পথনির্দেশ করে চলেছে। আমরা আশা করছি, স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যমগুলি কোনও প্রতিবেদন প্রকাশ করার আগে ন্যূনতম সাবধানতাটুকু অন্তত অবলম্বন করবে। যা এক্ষেত্রে করা হয়নি।'
🅺নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদের কাছে 'নথিপত্র' রয়েছে। যা থেকে এটা জানা গিয়েছে যে ব্রিটেনের দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দল - রিফর্ম ইউকে -এর অন্যতম বৃহৎ কোনও এক কর্পোরেট ডোনার (যে কর্পোরেট সংস্থাগুলি আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে) প্রায় ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ট্রান্সমিটার, ককপিটের সামগ্রী, অ্যান্টেনা এবং অন্যান্য় সংবেদনশীল প্রযুক্তি মস্কোর কোনও এক অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাকে বিক্রি করে দিয়েছে।
ꦍ২০২৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্য়ে ওই সংস্থা - যেটি কিনা ব্রিটিশ উড়ান সংক্রান্ত পণ্য উৎপাদনকারী অন্যতম বৃহৎ সংস্থা - এইচ আর স্মিথ গ্রুপের অংশ, তারা ওই সামরিক সংবেদনশীল পণ্যগুলি জাহাজে তুলে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। যে ভারতীয় সংস্থা আবার উল্লেখিত রুশ সংস্থার সবথেকে বড় বিজনেস পার্টার! এই পুরোটাই নিউ ইয়র্ক টাইমস - এ প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
💟তাতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এইচ আর স্মিথ গ্রুপ দাবি করেছে যে তারা যে পণ্য বিক্রি করেছে, তা আইন মেনেই করেছে। এবং ওই সরঞ্জাম বা পণ্যগুলি একটি ভারতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী ব্যবস্থাপনার জন্য পাঠানো হয়েছিল।
🌟এমনকী, ব্রিটিশ ওই সংস্থার আইনজীবীও জানান, ওই পণ্যগুলির মধ্য়ে 'জীবনদায়ী ব্যবস্থাপনায় ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম' মজুত ছিল এবং তাতে 'সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য কোনও পণ্য ছিল না'।
🔥এই গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ রাজনৈতিক দল - রিফর্ম ইউকে -এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা যে ডোনেশন নেন, তা সম্পূর্ণ 'বৈধ'। এবং 'রিফর্ম ইউকে-কে কলঙ্কিত করার এই অপচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না।'
✃নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে উপরোক্ত দুই ব্যক্তির করা দু'টি মন্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে।