কংগ্রেস সারাদেশে ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে।ওয়াকফ আইন নিয়ে বিরোধীদলের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ন꧃রেন্দ্র মোদী। ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। এই ওয়াকফ আইন পাশ হওয়া নিয়ে দেশে💜র একাধিক রাজ্যে তৈরি হয়েছে বিক্ষোভ পরিস্থিতি। সম্প্রতি ওয়াকফ আইন নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিতে ময়দানে নেমেছেন তিনি।
সোমবার হরিয়ানার হিসার বিমানবন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ' কংগ্রেস সংবিধানকে ক্ষমতা অর্জনের হাতিয়ার🎐 করে তুলেছে। জরুরি অবস্থার সময় ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সংবিধানের চেতনাকে হত্যা করা হয়েছিল। সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিক বিধির কথা বলে। কিন্তু কংগ্রেস কখনও তা বাস্তবায়ন করেনি। আজ উত্তরা🎃খণ্ডে একটি অভিন্ন নাগরিক বিধি কার্যকর করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, কংগ্রেস এর বিরোধিতা করছে। কংগ্রেস কখনও সংরক্ষণের সুবিধা তফশিলি জাতি/উপজাতি এবং অন্য়ান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেনি।' তিনি আরও বলেন, 'বিআর আম্বেদকর বলেছিলেন যে ধর্মীয় ভিত্তিতে সংরক্ষণ থাকা উচিত নয়। কিন্তু কংগ্রেস নিজেদের সুবিধার জন্য ওয়াকফ নিয়ম পরিবর্তন করেছে।'
মোদী আরও বলেন, 'কংগ্রেস ক্ষমতা🌌 অর্জনের জন্য পবিত্র সংবিধানকে অস্ত্রে পরিণত করেছে। কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে।বাবাসাহেব আম্বেদকরের সঙ্গে তারা কী করেছে, তা আমাদের ভুলে🌺 যাওয়া উচিত নয়। তারা তাঁকে দু'বার নির্বাচনে হারাতে বাধ্য করেছে। কংগ্রেস তাঁকে উৎখাত করতে চেয়েছিল, তারা তাঁকে সিস্টেম থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করেছিল। তাঁর মৃত্যুর পর, তারা তাঁর স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টাও করেছিল।'
ওয়াকফ আইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'লক্ষ লক্ষ হেক্টর জমি ওয়াকফ সম্পত্তি। যদি ওয়াকফ সম্পত্তি সৎভাবে ব্যবহার করা হত, তা🦩হলে তারা উপকৃত হত। কিন্তু, এই সম্পত্তি থেকে কেবল কয়েকজন ভূমি মাফিয়া উপকৃত হয়েছে। এই মাফিয়ারা দলিত, অনগ্রসর এবং বিধবাদের জমি লুট করছিল। নতুন ওয়াকফ আইনের মাধ্যমে দরিদ্রদের লুটপাট বন্ধ 𓃲হয়ে যাবে। নতুন ওয়াকফ আইনের অধীনে, আদিবাসীদের জমি বা সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ড স্পর্শ করতে পারবে না। এটাই প্রকৃত সামাজিক ন্যায়বিচার।'