💫 মাথার দাম ছিল - ১ লক্ষ টাকা! মাওবাদীদের সেই এরিয়া কমান্ডারকেই গুলি করে খতম করল পুলিশ ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া বিহারের বাঁকা জেলার কাটোরিয়া থানা এলাকার অন্তর্গত ক্লোথার বনাঞ্চলে। তবে, এই ঘটনায় পুলিশ বা এসটিএফ-এর তরফে কেউ হতাহত হননি।
🌌ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ওই বনাঞ্চলে মাওবাদী দমন অভিযান চলছিল। সেই অভিযানে এসটিএফ ছাড়াও বিহার পুলিশের সদস্যরাও ছিলেন। সেই অভিযান চলাকালীনই মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন যৌথ অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ ও এসটিএফ সদস্যরা। বেশ কিছুক্ষণ গুলিচালনার পর সেই স্থান থেকেই একটি দেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরনে ছিল মাওবাদীদের কমান্ডাারের পোশাক। ঘটনাস্থল থেকে একটি কারবাইনও উদ্ধার করা হয়।
🌠পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ঘটে পটনা শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি জঙ্গলে। এই অভিযানকে একটি বড় সাফল্য হিসাবেই দেখছে বিহার পুলিশ ও এসটিএফ।
𓄧জানা গিয়েছে, পুলিশ ও এসটিএফ-এর হাতে গোপন একটি সূত্র মারফত খবর এসেছিল যে ওই বনাঞ্চলেই ঘাঁটি গেড়েছেন মাওবাদী নেতা রমেশ টুডু ওরফে টেটুয়া। ৪৫ বছরের ওই মাওবাদী নেতার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাও থাকতে পারেন বলে জানতে পারে পুলিশ। এরপরই শুরু হয় মাওদমন অভিযান। মূলত, টেটুয়া ও তাঁর সহযোগীদের পাকড়াও করতেই এই অভিযান শুরু করা হয়। আর, তাতেই এই সাফল্য মেলে।
ꩵপুলিশের দাবি, যে মুহূর্তে তাদের এবং এসটিএফ-এর সদস্যরা বাঁকার জঙ্গলে ঢোকেন, তাঁদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেন পুলিশ ও এসটিএফ সদস্যরাও। বেশ কিছুক্ষণ ধরে গুলির লড়াই চলার পর মাওবাদীরা রণে ভঙ্গ দেয়। তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এবং জঙ্গলের আরও গভীরে ঢুকে যায়। তার আগে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে এই লড়াই চলে।
🥃এই ঘটনার সত্য়তা স্বীকার করেছেন ভাগলপুর রেঞ্জের আইজি বিবেক কুমার। তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে মাওবাদীদের জমায়েত করার একটি খবর এসেছিল। তার ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়। এসটিএফ জঙ্গলে পৌঁছতেই গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায়। সেই লড়াই যখন থামে, ঘটনাস্থলে একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই ব্যক্তির শরীরের গুলির ক্ষত ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে কাটোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।'
ꦿআইজি আরও জানান, নিহত ওই ব্যক্তি আদতে মাওবাদীদের জামুই অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার রমেশ টুডু ওরফে টেটুয়া। আইজি বলেন, 'জামুইয়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। অনেক মাওবাদী নিহত হয়েছেন। অনেকে আত্মসমর্পণ করেছেন। রমেশ দলের সদস্যদের নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করার জন্য প্রশিক্ষণ দিতেন। যাতে ইটভাটার মালিক, হোটেল মালিক ও অন্য ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে, তাঁদের কাছ থেকে নিয়মিত তোলা আদায় করা যায়। তিনি গ্যাংস্টার বিবেক যাদবের খুনের ঘটনাতেও যুক্ত ছিলেন।'