আইপিএলের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসেরꦺ পেসার মিচেল স্টার্কের ওভারে এল ৩০ রান। তিনি নিজের দ্বিতীয় ওভারে এই রান দেন। সেই ওভারে অনবদ্য ব্যাটিং করলেন ফিল সল্ট। সেই সুবাদেই মাত্র ৩ ওভারেই ৫০ টপকালো আরসিবি! এরপর বিরাটের ভুলে আউট সল্ট! ৩৭ রানে সাজঘরে ফেরেন ইংরেজ ওপেনার। তাতেই কিছুটা ধাক্কা খেল আরসিবির রানের গতি।
প্রথম দুই ওভার শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স𒉰 বেঙ্গালুরুর রান ছিল ২৩। প্রথম ওভারে স্টার্ক ভালোই বোলিং করেছিলেন, দিয়েছিলেন ৭ রান। পরের ওভারে রানের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ফিল সল্ট, এরপর অক্ষর প্যাটেলের ওভার থেকে তোলের ১৬ রান। তারপর স্টার্ক ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আসতেই পরপর বাউন্ডারি মারতে থাকেন সল্ট।
এদিন ইংরেজ꧂-অজি দ্বৈরথ দেখার জন্য চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সকলেই ভিড় জমিয়েছিল, আর সেখানে স্টার্ক-সল্ট দ্বৈরথে কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন সল্টই। তৃতীয় ওভারে ৩০ রান উঠল স্টার্কের বোলিংয়ে। ম্যাচের আগে এবারের আইপিএল সল্টের ধামাকাদার ইনিংস একমাত্র কেকেআরের বিরুদ্ধেই দেখা গেছিল, তাই দিল্লির বিরুদ্ধে এদিন তিনি শুরু থেকেই নিজের করিশমা দেখাতে থাকেন।
প্রথম বলেই ছয় মেরে শুরু করেন ফিল সল্ট﷽। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে পরপর দুটি চার মারেন ইংরেজ ওপেনার। অপর এন্ড থেকে যা বেশ উপভোগ করছিলেন বিরাট কোহলি। চতুর্থ বলটি স্টার্ক নো বল করলেও তাতে চার রান আসে। এরপরের বলে ফ্রি হিট ছিল, তাতেই সল্ট ছয় মারেন। এরপর একটি লেগ বাইতে রান হয়। ওভারের শেষ বলে বিরাট কোহলিও ফাইন লেগের দিকে একটি চার মারেন। এই ওভারেই আরসিবি ৫০ রান তুলে ফেলে।
꧅তবে এরপরের ওভারেই ঘটন ছন্দপতন। এক্সট্রা কভারের দিকে একটি শট খেলে ফিল সল্ট রান নিতে গেলেন। দেখে বিরাট কোহলিও মাঝ ক্রিজ পর্যন্ত দৌড়ে এসে তাঁকে আবার ফেরালেন। নিজের গতি থামিয়ে ফিরতে গিয়েই ক্রিজে পড়ে গেলেন সল্ট, আর তাতেই তাঁর আর ক্রিজে ফেরা হল না। ভিপরাজ নিগম বল ধরে দ্রুত দিলেন রাহুলকে। কেএল-ও কোনও ভুল করলেন না মূহূর্তের মধ্যে সেই বল উইকেটে লাগিয়ে বেল উড়িয়ে দিতে।
𒁃১৭ বলে ৩৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরলেন ফিল সল্ট। আশা করা হয়েছিল, তাঁর পরিবর্তে মাঠে আসা দেবদূত পাডিক্কাল হয়ত ভালো কিছু করে দেখাবেন। তবে সল্টের ধারে কাছে যেতে পারলেন না তিনি। ৮ বলে ১ রান করে তিনি আউট হয়ে গেলেন। হ্যা ঠিকই দেখছেন, ৮ বলে ১ রান করে তিনি আউট হলেন। তাতেই আরসিবির রানের গতি একদম আকাশ থেকেই নেমে এল মাটিতে।
🍎৩ ওভারে ৫৩ রান বিনা উইকেটে ওঠার পর পাওয়ারপ্লের বাকি তিন ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তুলল মাত্র ১১ রান। অর্থাৎ ৬ ওভারে তাঁদের স্কোর ২ উইকেটে ৬৪। বিরাট কোহলি নিশ্চয় ভাবছেন, তিনি সেই সময় রানটি পুরোটা নিলে তিনিও আউট হতেন না, আর ফিল সল্টও বেঁচে যেতেন। কারণ যে জায়গায় বিরাট পৌঁছে গেছিলেন, তাতে তিনি রান আউট হতে বলে মনে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে স্টার্ক যে বিরাট কোহলিকে মনে মনে একটা ধন্যবাদ দেবেন, সল্টের রান আউটের জন্য, তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত ১৪ বলে ২২ রান করে বিরাট꧋ কোহলিও আউট হয়ে গেলেন। এক্ষেত্রে মিচেল স্টার্কই কভারের দিক থেকে বেশ খানিকটা দৌড়ে এসে ভালো ক্যাচ নিলেন। ৭৪ রানের মাথায় আরসিবির তৃতীয় উইকেট পড়ল, তাতে তাঁদের চাপ যে বাড়ল সেকথা বলাই বাহুল্য।