'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতেই রয়েছেন।'কংগ্রেসের ‘গায়েব’ পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন জোটসঙ্গী ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ।জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার নিয়ে ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই আবহে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে ‘গায়েব’ পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের ‘গায়েব’ পোস্টে স্পষ্টতই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করা হয়েছে। সেখানে কারও মুখ নেই, এমনকী অবয়বও নেই। আছে শুধু জামা, জুতো, অনেকটা হলোম্যানের মতো। কিন্তু তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্টাইল স্টেটমেন্টের সাদৃশ্য অতি স্পষ্ট। পোস্ট শেয়ার করার সময়েও কংগ্রেসের তরফে কটাক্ষ কর বলা হয়েছে, দায়িত্ব নেওয়ার সময়ে গায়েব!
তবে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী কোথায় নিখোঁজ? আমি জানি তিনি দিল্লিতে রয়েছেন।' পাশাপাশি কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন,'আমরা প্রধানমন্ত্রীকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি। এরপর, আমাদের আর জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রীর যা প্রয়োজন তা করা উচিত।' ফারুক আবদুল্লাহ আরও বলেন, ভারত কখনও কাউকে প্রথমে আক্রমণ করেনি। সবকিছুই সেখান থেকে (পাকিস্তান) শুরু হয়েছিল, এবং আমরা জবাব দিয়েছি। আজও আমরা এটি (পারমাণবিক অস্ত্র) ব্যবহার করব না যদি না তারা ব্যবহার করে। কিন্তু যদি তারা এটি ব্যবহার করে, তবে আমাদেরও এটি আছে। ঈশ্বর যেন কখনও এমন পরিস্থিতি তৈরি না করেন।'
একই সঙ্গে পাকিস্তানের তীব্র নিন্দা করে ফারুক বলেন, 'মুম্বই হামলার পর প্রমাণিত হয়েছে যে তারাই এটা করেছে। পাঠানকোট হামলা তারাই করেছে, উরি হামলা তারাই করেছে। তারা যখন কার্গিলে হামলা করেছিল, তখন আমি মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। পাকিস্তান বলেছিল যে তারা জড়িত ছিল না, কিন্তু যখন আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিলাম, তখন তারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে সাহায্যের জন্য ছুটে গেল। তারা যদি বন্ধুত্ব চায়, তাহলে এই ধরনের ঘটনা চলতে পারে না। এটা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু তারা যদি শত্রুতা চায়, আমরা প্রস্তত।' ফারুক আবদুল্লা বলেন, 'পাকিস্তান আজও বুঝতে পারছে না যে ওরা মানবতার হত্য়া করেছে। করে আসছে। আমাদের হতভাগ্য। যদি পাকিস্তান মনে করে এর ফলে আমরা ওদের সঙ্গে চলে যাব তাহলে ভুল ভাবছে। ১৯৪৭ সালে আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে যাইনি। আজ তাহলে কেন যাব? দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েছিল। কিন্তু আমরা তো সবার সঙ্গে থাকি। সব ধর্মকে সম্মান করে থাকি। পাকিস্তান যদি মনে করে ওরা হামলা করে আমাদের শক্তিক্ষয় করাচ্ছে তাহলে ভুল করছে। এতে আমাদের শক্তি বাড়ছে। আমরা এর যোগ্য জবাব দেব।'
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর মঙ্গলবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রত্যাঘাতের।