ভারতে ভোটার টার্নআউটের জন্য ২ কোটি ১০ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রꩲশাসন যে দাবি করেছে, তার প্রতিক্রিয়ায় শনিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তিনি এই অভিযোগকে ‘উদ্বেগজনক ও উদ্বেগজনক’ বলে বর্ণনা করে বলেন, ইউএসএআইডিকে ভারতে সরল বিশ্বাসে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল,🎐 ‘খারাপ বিশ্বাসে পরিচালিত কার্যকলাপের জন্য’ নয়।
‘ট্রাম্প প্রশাসনের লোকজন সেখানে কিছু তথ্য ♊প্রকাশ করেছে এবং স্পষ্টতই, এটি উদ্বেগজনক... আমি মনে করি, সরকার হিসেবে আমরা বিষয়টি দেখছি। আমার ধারণা, ঘটনা বেরিয়ে আসবেই... ইউএসএআইড♕িকে সরল বিশ্বাসে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল; এখন আমেরিকা থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে এমন কিছু কার্যকলাপ রয়েছে যা খারাপ বিশ্বাসে করা হচ্ছে। এটি উদ্বেগজনক এবং যদি এর মধ্যে কিছু থেকে থাকে তবে দেশের জানা উচিত যে কারা এতে জড়িত,’ এস জয়শঙ্কর জাতীয় রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন।
মার্কিন সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্ক, সম্প্রতি এক্স-এ লিখেছেন যে ইউএসএআইডি ‘🧔ভারতে ভোটার টার্ন আউটের জন্য’ ২১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। এতে বলা হয়, অর্থায়ন ꦕবাতিল করা হয়েছে।
ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন꧟, ꦆবাইডেন প্রশাসন এই তহবিল বরাদ্দ করেছে।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে গভর্নরস ওয়ার্কিং সেশনে ট্রাম্প বলেন, 'ভারতে ভোটার উপস্থিতির জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে যাচ্ছে। আমরা ভারতে ভোটার উপস্থিতির জন্য ২১ মিলিয়ন দ♔িচ্ছি। আমাদের কী হবে? আমিও ভোটার উপস্থিতি চাই।
ভারতের প𒁏্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আক্রমণ করে বলেছে, এই অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানানো উচিত।
কংগ্রেসের মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান পবন খেরা এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, শ্বেতপত্রে শুধু ইউএসএআইডি তহবিল জোগালেই হবে না, বরং এমন সব সংস্থা🍸 যারা ভারতীয় আইন অনুযায়ী সরকার, ব্যক্তি ও অন্যান্য সংস্থাকে অর্থ যোগান দেয়।
খেরাকে পাল্টা আক্রমণ করে বিজেপি নেতা অজয় অলোক বলেন, কংগ্রেস সম্ভবত মা𝄹থা খারাপ করে ফেলে꧅ছে।
তিনি বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যেই দেখিয়েছি যে সরকার ২০০৪-১৪ সালের মধ্যে ২১১৯ মিলিয়ন ডলার এবং ২০১৪-২৫ সালের মধ্যে মাত্র ১.৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছিল। আমরা এসব বন্ধ করে দিচ্ছি। ভারত সরকার এখন ব্যবস্থা নিচ্ছে, মার্কিন সরকার একটি 💃তালিকা প্রকাশ করেছে যে কারা কোথা থেকে অর্থ পেয়েছে... এটি একটি গভীর রাষ্ট্রের অংশ।
ডিওজিই বিতর্কে এমইএ প্রতিক্রিয়া
বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার বলেছে যে ﷺপ্রতিবেদনগুলি গভীরভাবে উদ্বেগℱজনক।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কারဣ্যক্রম ও অর্থায়নের বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের দেওয়া তথ্য আমরা দেখে🥃ছি। এগুলো নিঃসন্দেহে গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এর ফলে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সংস্থাগুলো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই পর্যায়ে জনসমক্ষে মন্তব্য করা তাড়াতাড়ি হবে, তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি খতিয়ে দেখছে এবং আশা করি আমরা পরে এ বিষয়ে একটি আপডেট নিয়ে আসতে পারব, ’বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন।