ডার্বির আগে জয়ে ফেরা জরুরি-প্রীতমের দাবি সত্ত্বেও কেরালার বিরুদ্ধে চাপে ATK MB

আইএসএলের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে এটিকে মোহনবাগান। চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে এগিয়ে থেকেও হারতে হয়েছে। এ বার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। প্রীতম কোটাল বলে দিয়েছেন, ডার্বির আগে জয়ে ফেরাটা খুবই জরুরি।প্রীতমের মতো দলের বাকি ফুটবলাররাও লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে রয়েছেন। শুক্রবার কোচিতে উড়ে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। তবে দীর্ঘ দিন সবুজ-মেরুনের ডিফেন্সের সঙ্গী প্রীতম কোটাল অবশ্য কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ পয়েন্ট তুলে আনার বিষয়ে আশাবাদীও। আসলে এ বার মরশুমের শুরু থেকেই নড়বড় করছে এটিকে মোহনবাগান। ডুরান্ড কাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পর এএফসি কাপ থেকেও ছিটকে যায় জুয়ান ফেরান্দোর টিম। মনের মত দল বানিয়েও সাফল্য এখনও অধরাই রয়ে গিয়েছে। আর প্রথম ম্যাচে এগিয়ে থেকেও পরপর দুটি গোল হজম করে চেন্নাইয়ের টিমের কাছে হেরেছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে নামতে চলেছে এটিকে মোহনবাগান। ডার্বির আগে এটাই তাদের শেষ ম্যাচ। কোচিতে উড়ে যাওয়ার আগে প্রীতম বলেন, ‘ডার্বির আগে কেরল ম্যাচে ভালো ফল করাটা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের পয়েন্ট পেতেই হবে। প্রথম লক্ষ্য তিন পয়েন্ট। ওরা গতবার ফাইনাল খেলেছিল। ওরা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। আজ পর্যন্ত কেরালার সঙ্গে যত ম্যাচ খেলেছি সব ম্যাচই হাড্ডাহাড্ডি হয়েছে। এবারও আমাদের সেরাটা খেলে জিততে হবে। এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেলে ডার্বির আগে পুরো দলের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবে আইএসএল শুরু হয়েছে। ঘরে মাঠে শুরুর ম্যাচটা জিততে পারলে ভালো হত। চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে যে ভাবে আমরা খেলাটা শুরু করেছিলাম তাতে মনে হয়েছিল বড় ব্যবধানে জিতব। কিন্তু এই মরশুমের শুরু থেকেই যে কোনও ম্যাচের শুরুটা ভাল করছি আমরা। গোলও করছি। কিন্তু শেষের দিকে মনসংযোগ রাখতে পারছিনা। সেজন্যই ম্যাচ জিততে পারছি না। এই রোগটা সারানোর জন্য চেষ্টা চলছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। কোচু আমাদের উদ্বুদ্ধ করছেন। ভুল, ত্রুটি শুধরে দিচ্ছেন।’প্রীতম এখানেই না থেমে যোগ করেছেন, ‘প্রথম ম্যাচ হেরে গিয়েছি বলে কেরালা ম্যাচে তার প্রভাব পরবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। প্রতিযোগিতায় অন্যতম শক্তিশালী দল আমাদের। সব থেকে বড় কথা আমরা গোলের সুযোগ তৈরি করছি। গোলও পাচ্ছি, ভালো খেলছি। বল পজেশন, গোলমুখী শট বা পাসিং সব জায়গাতেই আমরা প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে থাকছি। ফলে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য স্থির থাকলে এবং মনসংযোগ ঠিক রাখলে আমরা জয়ে ফিরবই। সব ঠিকঠাক থাকলে কেরল ম্যাচেই হয়তো দেখবেন যে, আমরা তিন পেয়ে শহরে ফিরছি।’