গ্রিনল্য🍎ান্ডের বরফ নিয়ে গবেষণা করার সময় আশ্চর্যজনক আবিষ্কার নাসার। বরফের মানচিত্র তৈরি করার সময় বেসে হোঁচট খান বিজ্ঞানীরা। তখনই প্রকাশ্যে আসে বহু পুরনো মার্কিন সামরিক ঘাঁটি, ক্যাম্প সেঞ্চুরি। এটি বছরের পর বছর ধরে বরফের নীচে চাপা পড়ে ছিল। পরবর্তীকালে এর দরুণ পরিবেশের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে, বলেও উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী অ্যালেক্স গার্ডনার এই মুহূর্🤡তটির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, প্রথমে তাঁরা নিশ্চিত ছিল না যে কী আবিষ্কার করেছেন, কারণ এই সাইটটি কয়েক দশক ধরেই বরফের তলায় চাপা পড়ে ছিল। নতুন রাডার প্রযুক্তি বিজ্ঞানীদের ক্যাম্প সেঞ্চুরিকে খুঁটিয়ে অন্বেষণ করতে সাহায্য করেছে।
পুরনো রাডারের বদলে, নতুন আনহাব🧜িটেড এরিয়াল ভে൲হিকেল সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার অনেক বেশি বিশদ এবং নির্ভুলভাবে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করেছে। দলের একজন বিজ্ঞানী চ্যাড গ্রিন বলেন, প্রথমবারের মতো এই গোপন ঘাঁটির কাঠামোগুলো এমনভাবে দেখা গেল, যা আগে কখনও সম্ভব ছিল না। এই নতুন প্রযুক্তি ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সামনে এনেছে, যা বহু বছর ধরে বরফের নীচে চাপা পড়ে ছিল।
ক্যাম্প সেঞ্চুরির অজানা কথা
ঠাণ্ডা যুদ্ধ💃ের সময় ১৯৫৯ সালে মার্কিন সামরিক বাহিনী ক্যাম্প সেঞ্চুরি তৈরি করেছিল। এই ঘাঁটিটি আর্কটিক থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে, বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। ঘাঁটিটি গ্রীনল্যান্ড বরফের গভীরে তৈরি করা হয়েছিল। এক সময়ে ৮৫ থেকে ২০০ সৈন্যদের এই ঘাঁটিতে একটি পারমাণবিক শক্তি চালিত জেনারেটরও ছিল।
বছরের পর বছর ধরে, ক্যাম্প সেঞ্চুরি গবেষণার জন্য🌄 একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে ܫউঠেছিল, এবং সেখান থেকে নেওয়া আইস কোর নমুনাগুলি আজও জলবায়ু অধ্যয়নের জন্য মূল্যবান। তবে এর সামরিক উদ্দেশ্য গোপন রাখা হয়েছিল। ১৯৬৭ সালে, যখন সামরিক বাহিনী পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করে, তখন ক্যাম্প সেঞ্চুরি বন্ধ হয়ে যায়। পারমাণবিক চুল্লি সরিয়ে করা হয়েছিল, তবে প্রচুর বর্জ্য জমা পড়েছিল ক্যাম্পে।
এটাই হবে পরিবেশের ক্ষতির কারণ
এত বছর পর, ক্যাম্প সেঞ্চুরির আবিষ্কার গুরুতর পরিবেশগত উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন যে বরফ গলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাথে এর নীচে চাপা দেওয়া বিষাক্ত বর্জ্য নির্গত হতে পারে। এ প্রসঙ্গে জলবায়ু বিজ্ঞানী, উইলিয়াম কোলগান, সতর্ক করে দেন যে ২০৯০ সালের মধ্য📖ে, সাইটটির বরফ গলতে শুরু করবে। তা হলে বছরের পর বছর ধরে নিরাপদে বরফের মধ্যে আটকে থাকা বর্জ্য বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ক্যাম্প সেঞ্চুরির বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে বিপজ্জনক রাসায়🍒নিক পদার্থ, যেমন ৫৩,০০০ গ্যালন ডিজেল জ্বালানি, ৬৩,০০০ গ্যালন বর্জ্য জল এবং পারমাণবিক চুল্লি থেকে অজানা পরিমাণে তেজস্ক্রিয় কুল্যান্ট। সাইটে প্রায় ১৩৬ একর বর্জ্য রয়েছে, এটি ভবিষ্যতে পরিবেশের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: ('Digital Arrest' করে ১৩ লক্💯ষ টাকা 🅘হাতানোর চেষ্টা! প্রবীণ গ্রাহককে বাঁচাল SBI, ডিজিটাল অ্যারেস্ট আসলে কী)
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হল, বিজ্ঞানীরা এটা বিশ্বাস করেন যে প্রায় ১০🌳০ ফুট বরফের নীচে ১৩৫ একর বর্জ্য চাপা পড়ে আছে। এই বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে বিপজ্জনক রাসায়নিক যেমন ডিজেল জ্বালানি, 🌳বর্জ্য জল এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থ। বরফ গলে গেলে, এই বিষাক্ত পদার্থগুলি নির্গত হতে পারে, যা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করবে। তাই যদি বেসটি উন্মুক্ত করা হয়, তবে এটি একটি পরিবেশগত সংকটে পরিণত হতে পারে।
এমনিতেই জলবায়ু পরিবর্তন আর্কটিককে উষ্ণ ক⛄রে তুলছে, যা বরফের চাদরকে আরও দ্রুত গলিয়ে দিচ্ছে। বরফ গলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক দশক ধরে আটকে থাকা বিপজ্জনক বর্জ্য দূষণ ছড়াতে পারে। অর্থাৎ ক্যাম্প সেঞ্চুরির বর্জ্য, পরিবেশ এবং মানব স্বাস্থ্য উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে।