একদিকে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই মন্দিরের উদ্বোধন করেন। একেবারে মেগা ইভেন্ট। আর বুধবারই কাঁথি রেল ময়দানে সনাতনী সম্মেলন।
সেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগ উপস্থিত ছিলেন সাধুসন্তরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কার্তিক মহারাজ। জ্বালাময়ী ভাষণ কার্তিক মহারাজের।
কার্তিক মহারাজ বলেন, আজকে এই পবিত্র দিনে আমাদের মাননীয়া মুখ্য়মন্ত্রী তিনি জগন্নাথধাম… লেখা আছে রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে তাঁর ছবি দিয়ে জগন্নাথধাম। পৃথিবীর বুকে সেরা চারটি ধাম। এই ধাম কোনওদিন নির্মাণ করা যায় না। ধাম কখনও অর্থ দিয়ে অহঙ্কার দিয়ে তৈরি হয় না।
কার্তিক মহারাজ বলেন, ‘আমাদের বাংলা, বাঙালি আমাদের বাপ ঠাকুরদারা পাপ করেছিলেন। সেই পাপের ফল আমরা বহন করছি। পঞ্চ পাণ্ডবরা পাপ করেছিলেন। সেই পাপের ফল ভোগ করতে হয়েছিল অভিমূন্যকে, ভীমের সন্তানকে, দ্রৌপদীর পাঁচ পাঁচটি সন্তানকে। পশ্চিম দিগন্তে দিকচক্রবালের অন্তরাল থেকে বিনয়- বাদল- দীনেশ, ক্ষুদিরাম নেতাজি সুভাষ, বিবেকানন্দ, প্রণবানন্দ তাঁদের আত্মাগুলো কাঁদছে। তাঁরা পবিত্র আত্মা পাচ্ছেন না। তাই তাঁরা জন্মগ্রহণ করতে পারছেন না মা। আপনারা একটু পবিত্র হোন। আপনারা একটু ধৈর্য্য ধরুন। আপনাদের কোল আলো করে আসবে বিনয় বাদল দীনেশের আত্মাগুলো কাঁদছে। বিবেকানন্দ, প্রণবানন্দের অরবিন্দের আত্মাগুলো কাঁদছে। আত্মাগুলো পবিত্র মা পাচ্ছেন না। তাই তাঁরা জন্মগ্রহণ করতে পারছেন না। আপনারা জন্ম দিন গুরু গোবিন্দ সিংয়ের মতো সন্তান রানা প্রতাপের মতো সন্তান। শিবাজির মতো সন্তান।..আজ সেই পবিত্র সময়ে শুভেন্দুদা মাঝেমধ্যে হতাশ হন। দিল্লির নানা রকম বার্তা নিয়ে তার কষ্ট হয়। বাঙালি হিন্দু সবাই আসুন আরএসএস, আসুন বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস,রামকৃষ্ণ মিশন, অনুকূল ঠাকুর, তৃণমূল আসুন, সবাই আসুন। কলকাতার বুকে হুকুম দেয় …গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেব। পশ্চিমবঙ্গে একজন মন্ত্রী সংবিধান স্পর্শ করে বলছেন ইসলামের দাওয়াতি দিয়ে…যারা ইসলাম জন্মে যারা জন্মগ্রহণ করেননি তারা দুর্ভাগা। আমরা দুর্ভাগা।…বিবেকানন্দ বলেছিলেন আমি নিজেকে হিন্দু বলতে গর্ব অনুভব করি।…আজ বলার সময় এসে গিয়েছে শুধু রুদ্রাক্ষের মালা জপ করলে হবে না, আজকে বিবেকানন্দর মতো বলতে হবে আমি নিজেকে হিন্দু বলতে গর্ব অনুভব করি…আমি কার্তিক মহারাজ। যতদিন দেহে রক্ত থাকবে, প্রাণশক্তি থাকবে ততদিন আমার হিন্দু সমাজের জন্য, বাঙালি হিন্দুদের একজোট করার জন্য ছুটব, আমি কার্তিক মহাজার শুভেন্দুদার পাশে দাঁড়িয়ে আগামী দিনে শপথগ্রহণ করার জন্য় শুভেন্দুদাকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ করে দাঁড়াব। আর সমালোচনা নয়, এখন শুধু এগিয়ে চলা। ’