সোমবার ভারতীয় বাজারে দুর্বল থাকল সোনা। সম্প্রতি যে নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল সোনার, তা অব্যাহত আছে। সপ্তাহের প্রথমদিন এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম অবিচল রয়েছে ৪৭,৬১৭ টাকায়। তবে কমেছে রুপোর দাম। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ০.২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬০,৯৩০ টাকা।
এমনিতে গত দুটি সেশনে ১০ গ্রাম সোনার দাম ১,০০০ টাকার মতো কমেছে। ২০২০ সালের অগস্টে ভারতীয় বাজারে সোনার দাম রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকার স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। তারপর থেকে উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছে হলুদ ধাতু। আপাতত রেকর্ডের থেকে ৮,৬০০ টাকার মতো কম আছে সোনার দাম।
মঙ্গলবার বিশ্ব বাজারেও কমেছে সোনার দাম। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭৮৮.৪১ ডলার। যা গত সেপ্টেম্বরের পর সর্বাধিক মাসিক পতনের সাক্ষী থেকেছে। মার্কিন ডলার শক্তিশালী হওয়ায় অন্য মুদ্রাধারীদের কাছে আরও দামী হয়েছে সোনা। গত শুক্রবারের স্তরের কাছে সোমবার ঘোরাফেরা করেছে মার্কিন ডলার। শুক্রবার মার্কিন ডলার ১৮ মাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। তারইমধ্যে অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে কমেছে রুপোর দাম। দর বেড়েছে হিরের। এক আউন্স রুপোর দাম ০.৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২২.৩৬ ডলার।
মাইগোল্ড কার্টের অধিকর্তা বিদিত গর্গ জানান, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের আক্রমণাত্মক অবস্থানের কারণে চাপের মধ্যে আছে সোনা। তার জেরে মার্কিন ডলারের গ্রাফ উঠেছে। চলতি সপ্তাহে বেতন কাঠামো সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়ে আছেন লগ্নিকারীরা। আপাতত সোনা দুর্বল আছে। তবে এক আউন্স সোনার দাম ১,৭৭৭ ডলারের নীচে নামলে তবেই হলুদ ধাতু আরও দুর্বল থাকবে। আজ দিনের মাঝামাঝি এক আউন্সের দাম ১,৭৯০ ডলারের উপরে থাকলে দিনের শেষে ১,৭৯৮ থেকে ১,৮০০ ডলারের মতো স্তরেও থাকতে পারে সোনা।