'চাল আর কাঁকড় আলাদা করা যায়নি'! তাই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে গিয়েছে এসএসসি-🌳র ২০১৬ সালের প্রায় সম্পূর্ণ প্যানেল। চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও অশিক্ষক কর্মচারী। চাকরিহারাদের সেই তালিকায় রয়েছেন তাদেরও প্রিয় তিন শিক্ষক। চাকরি যাওয়ার পর থেকে তাঁরা আর স্কুলে আসছ💧েন না। তাতেই মন খারাপ পড়ুয়াদের। তারই মধ্যে তারা দেখেছে, কীভাবে কলকাতার কসবায় ডিআই অফিসে পুলিশের লাঠি এবং লাথি খেতে হয়েছে চাকরিহারাদের। আর সেই বেদনাদায়ক ছবি দেখেই এক মেধাবী কৃতী পড়ুয়ার পুলিশকে প্রশ্ন, 'পুলিশকাকু আপনিও তো একদিন কোনও না কোনও শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করেছেন। তাঁদের কথা কি একবারও মনে পড়ল না?'
যে ছাত্রﷺ এই প্রশ্ন তুলেছে, তার নাম - সৌম্যদীপ সিংহ। সচেতন এই কিশোর পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি ব্লকের মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের দ্বাদশ শ্রেণির ফার্স্ট বয়! তার এমন প্রশ্ন শুনে চোখে জল স্কুলের বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদেরও।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিলের জেরে এই স্কুলেরও তিন শিক্ষক ও দুই শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। ওই তিনজন শিক্ষক রসায়ন, জীববিদ্যা ও ইতিহাস পড়াতেন। তিনজনকেই ছাত্রছাত্রীরা ভীষণ পছন্দ করে। তাই, তাঁদের চাকরি যাওয়ায় পড়ুয়াদের কারও মন ভালো নেই। তার উপ♚র, বাকিদের মতো তারাও দেখেছে, কীভাবে গত বুধবার কসবা ডিআই অফিসে চাকরিহারাদের হেনস্থা ও অপমানের শিকার হতে হয়েছꦕে।
সেই ঘটনা দেখার পরই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা প্রধান শিক্ষক প্রসূনকুমার পড়িয়ার কাছে একটি প্রতিবাদ প্রস্তাব জমা দেয়। ছাত্রছাত্রীরা জানায়, স্কুলেই তা🍃রা একটি প্রতিবাদ সভা আয়োজন করতে চায়। প্রধান শিক্ষক তাতে বাধা দেননি। বরং, সেই সভায় স্কুলের বাকি সমস্ত শিক্ষক ও কর্মীরাও কালো ব্যাজ পরে যোগ দেন।
এই সময় অনলাইন অনুসারে - সেই প্রতিবাদ সভার মঞ্চে বক্তব্য পেশ ক﷽রতে উঠে সৌম্যদীপ বলে, 'শিক্ষকরা সমাজ গড়ার কারিগর। চাকরি হারিয়ে তাঁরা কিছু প্রশ্ন নিয়ে ডিআই অফিসে গিয়েছিলেন। আর তাঁদের উপর এই নির্যাতন! পুলিশকাকু আপনিও তো একদিন কোনও না কোনও শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করেছেন। তাঁদের কথা কি একবারও মনে পড়ল না? আপনার ছেলেমেয়েরাও নিশ্চয়ই পড়াশোনা করছে কোনও না কোনও শিক্ষকের কাছে! নাকি তারা পড়াশোনা করে না?'