রাত পোহালেই দিঘার জগন্নাথধামের উদ্বোধন হবে। দিঘায় এখন সাজসাজ রব। আর সেখানে এখন শুরু হয়ে গিয়েছে মহাযজ্ঞ। উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দিঘার সর্বত্রই শুধু শোনা যাচ্ছে, জয় জগন্নাথ ধ্বনি। এখানে উইকএন্ডে ভিড় জমান ভ্রমণপিপাসু বাঙালি। আবার অনেকে হানিমুন ট্যুরেও আসেন। তখন তাঁদের মেলে শুধুই সমুদ্র এবং কিছু ছোটখাট জায়গা। সমুদ্রসৈকতে গিয়ে ঢেউয়ের জলে পা ভিজিয়ে এবং প্রবল হাওয়ায় মেতে ওঠা ছাড়া কিছুই মিলত না। তার পরও দিঘা বাঙালির ওয়ান স্টপ ডেস্টিনেশন। সেখানে দিঘার মায়া আরও বাড়বে। কারণ, জগন্নাথধাম। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ জুন মালিয়া মনে করছেন, এটা হবে উপরি পাওনা।
জগন্নাথ মন্দিরের দৌলতে পর্যটনে বদল আসতে পারে সৈকতনগরী দিঘার। নবদম্পতি বিয়ের পর সমুদ্রসৈকতের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করে মধুচন্দ্রিমায় মেতে উঠতে পারেন। তবে এবার থেকে তাঁরা সমুদ্র দিয়ে শুরু করে সমুদ্রেই শেষ করবেন না হানিমুন ট্রিপ। বরং জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন তাঁরা। এই বিষয়ে জুন মালিয়া বলেন, ‘বাংলার মানুষজন এমনিতেই আধ্যাত্মিক। এখানে চৈতন্যদেবের জন্ম হয়েছে। তাই দিঘায় জগন্নাথদেব এলে দিঘার ব্যাপ্তি আরও বাড়বে। সেখানে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন পর্বে ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি হতে চলেছে।’
আরও পড়ুন: সনাতনী সম্মেলনের পাল্টা পদক্ষেপ করল তৃণমূল, দিঘার উদ্বোধন শুনতে পাবেন শুভেন্দুও
দিঘায় বাঁধানো হয়েছে সমুদ্রের পার। চওড়া এবং পাকা হয়েছে রাস্তাঘাট। চন্দননগরের আলো বসেছে প্রবেশের গেটে। সবমিলিয়ে এখন নবরূপে সেজে উঠেছে দিঘা। তার সঙ্গে পর্যটকদের নিরাপত্তায় জোর দিয়ে করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। আগামীকাল, বুধবার মন্দিরের দ্বারোদঘাটন হবে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার এবং ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে দিঘায় এসে পৌঁছেছেন তারকা সাংসদ জুন মালিয়া। মেদিনীপুরের সাংসদের বক্তব্য, ‘কোনও খামতি যাতে এখানে না থাকে তার জন্য কদিন ধরেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিতরা যজ্ঞ করছেন। আজ মহাযজ্ঞ। নিষ্ঠার সঙ্গেই এখানে জগন্নাথ দেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। আমার মনে হয় মন্দির নিয়ে দিঘার সবাই খুব এক্সসাইটেড। পর্যটন এবং কর্মসংস্থান বাড়বে। এই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিতে হবে।’
এছাড়া দিঘার জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশার কথা। অন্যান্য মন্ত্রীরা এখন এসে গিয়েছেন। আর আজ সাংসদ জুন মালিয়ার কথায়, ‘দ্বারোদঘাটনে ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি করবে। দিঘা এমনিতেই সুন্দর। মধ্যবিত্ত বাঙালির হানিমুন স্পষ্টও বটে। সেখানে এই মন্দিরের সংযোজন। ফলে যাঁরা নতুন বিয়ে করে এখানে আসবেন তাঁরা শুধু হানিমুনই করতে আসবেন না, জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদ নিয়ে যেতে পারবেন।’