দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন নিয়ে আজ, বুধবার নবান্নে প্রস্তুতি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে একাধিক মন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। আর মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে একাধিক আমলা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। তবে রাজ্য পুলিশের ডিজ🐈ি এবং উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা উপস্থিত থাকবেন কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দ্বারোদঘাটন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। পাশাপাশি আজ সকালেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের ইমাম–মোয়াজ্জেমদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠক নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
আজ, বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এখানেই তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় ইমাম, মোয়াজ্জেমদের বৈঠক নিয়ে💎 খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। আক্রমণ শানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পিঠ চাপড়ে শাবাসি দেওয়ার জন্য বৈঠকে ডেকেছেন। যা কিছু হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছায় এবং উৎসাহে হচ্ছে। উনি ইদের দিন বার্তা দিয়েছিলেন যা খুশি করো। আ🐻মি দেখে নেব। মালদা জেলার পল্লালপুরে স্কুলে এতগুলি লোক আশ্রয় নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও লোক তাদের কথা শুনতে গিয়েছেন? একই রাজ্যের একটি জায়গা থেকে লোক পালিয়ে আরেকটি জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিমদের ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য ডেকেছেন।’
আরও পড়ুন: কুলতলিতে আত্মঘাতী শিক্ষককে ‘চাকরিহারার’ তকমা বিজেপির, মিথ্যা ফাঁস করল পুলিশ
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় প্রবল বিক্ষোভ চলছে নানা জেলায়। তার মধ্যে তোলপাড় মুর্শিদাবাদের একাংশ। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নেমেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য সরকারের দাবি, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। নববর্ষের দিন মিষ্টির দোকান থেকে বাজারহাট সবই খুলেছে। তার মধ্যে আজ রাজ্যের ইমাম–মোয়াজ্জেমদের সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ওই সম্মেলন নিয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘শরবত খাওয়ানো হবে। উনি বলবেন ঠিক আছে। চালিয়ে যাও। ওরা আগেই ঘোষণা করেছে ৪০ দিন ধর𒁏ে চালিয়ে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি এটাই ইচ্ছা হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের ভাবতে হবে তারা কিভাবে বাঁচবে?’
এছাড়া নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আসা ইমামদের বক্তব্য তাঁরা শান্তির জন্য জমায়েত করেছেন। গণতান্ত্রিক উপায়ে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। লক্ষ্য, নয়া ওয়াকফ আইন বাতিল করা। তাদের আরও দাবি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন। আর দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘আমরা বারবার বলছি বাংলাদেশে যা൩ ঘটেছে এখানে তা ট্রেলার চলছে। একই টাইপের। হিন্দু বসতি এলাকা ঘিরে নিয়ে অত্যাচার চলেছে। অবিকল বাংলাদেশ মডেল। এটা এক্সটেন্ডেড বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে। উনি তো জগন্নাথ মন্দির তৈরি করেছেন। ওটা লিজ দিয়ে দিন। কিছু টাকাপয়সা ঘরে আসবে। সবই ওনার রাজনীতির হিসেব। ওটা হয়তো এরপর মমতা মন্দির নাম হবে। মুখ্যমন্ত্রী চোখ দেখে মাওবাদী চিনতে পারেন, পার্টির মধ্যে কে খাচ্ছে ঘুমাচ্ছে জানতে পারেন। আর রাজ্যে এত♍বড় ঘটনার খবর নেই? সব খবর আছে। সব উনি করাচ্ছেন।’