সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে 𓃲চাকরি বাতিলের পর শিক্ষকদের বদলি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর। ২০২৩ সালে সারপ্লাস ট্রান্সফারের অধীনে বদলি চালু করেছিল দফতর। এবার এনিয়ে ২ ব♎ছর আগেকার সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। এই বদলি নিয়ে শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। ফলে এনিয়ে নতুন করে আইনি জটিলতায় পড়তে চায় না শিক্ষা দফতর। সেই কারণে এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। এর অধীনে যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা বদলি হয়েছেন তাঁদের পুরনো স্কুলে ফেরানো হবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: আন্দোলন এবার দিল্লিতে, ব্রাত্যের সঙ্গে বৈঠকের পღর চাকরিহারাদের বড় সিদ্ধান্ত
মূলত স্কুলগুলিতে ছাত্র এবং শিক্ষকের সংখ্যার অনুপাত সঠিক রাখার ২০২৩ সালে এই প্রক্রিয়া চালু হয়েছিল। এর অধীনে এখনও পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে ৬০৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বদলি করা হয়েছে𝐆। তবে এই বদলি নিয়ে অভিযোগ তোলেন শিক্ষামহলের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনিক বদলির নামে দূরবর্তী স্থানে বদলি করা হয়েছে। অনেককেই আবার চিকিৎসাজনিত কারণে বদলি করা হয়েছে।
শিক্ষক সংগঠনের দাবি, বহু স্কুল শিক্ষকের অভাব রয়েছে তা সত্ত্বেও নিয়োগের ব্যবস্থা না করে এর রাজ্য সরকার শিক্ষক শিক্ষিকাদের এর অধীনে বহুদূরে বদলি করছে। সেক্ষেত্রে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বলদির নিয়ম থাকলেও ১৫০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে বদলি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় বহু বছর দূরে চাকরি করে উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে বদলি নিয়ে আসা শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও এ অধীনে বদলি করা হয়েছে। আরও অভিযোগ, মেডিক্যাল কারণ দেখিয়ে ১২০ জনকে বদলি করা হয়েছে যা তাঁরা জানতেন না। এরপরেই বদলি নিয়ে বিভ্রান্তি এবং হয়রানির অভিযোগ ওঠে। এই অবস্থায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর চাকরি যাওয়ার পর রাজ্য সরকার আর নতুন করে ꦫজটিলতায় পড়তে চায়ছে না। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
এবিষয♕়ে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু স্কুলেই শিক্ষক-শিক্ষিকা শূন্য। তবে বদলি বাতিল হলে স্🌃কুলগুলির সমস্যা বাড়বে। যদিও শিক্ষকদের একাংশ এতে খুশি। একটি শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য, এই বদলির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই তারা সরব হয়ে আসছেন। দূরে বদলি হওয়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের অসুবিধা হচ্ছিল। ফলে সমস্যার সমাধান হবে।