কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের পিচ নিয়ে আইপিএল ২০২৫-এর শুরু থেকেই চলছে বিতর্ক। কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের ঝামেলা এখন খবরের কাগজে নিত্যদিনের হেডলাইন। কে🐎কেআর শুরু থেকে বারবার দাবী করে আসছে, তারা ইডেনে হোম অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে না।
মঙ্গলবার ইডেনে লখনউ সুপার জায়ান্টসের ꩲবিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের চার রানে হারের পর, অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে স্থানীয় কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়কে এবার এক হাত 🔴নিলেন। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদিক সম্মেলনে রাহানেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা কি যথেষ্ট হোম অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে। আর এর জবাব দিতে গিয়েই ক্ষোভ উগড়ে দেন কেকেআর-এর অধিনায়ক।
পিচ কিউরেটরকে পুরো ধুইয়ে দিলেন রাহানে
স্পষ্ট ভাষায় রাহানে বলে দেন, ‘উইকেট নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। আপনারা সবাই এটি নিয়ে অনেক কথা বলেꦯছেন। আমি যদি এখন কিছু বলি, তাহলে তো ক্ষোভের সৃষ্টি হবে। আমাদের কিউরেটর অনেক প্রচার পেয়েছেন। আমার মনে হয় তিনি সেই প্রচারে খুশি।’
তিনি এখানেই না থেমে আরও বলেছেন, ‘আপনারা হোম ম্যাচের সুবিধা সম্পর্কে যা খুশি লিখতে পারেন। যদি আমাকে ঘরের মাঠের সুবিধা সম্পর্কে কিছু বলতে হয়, তღাহলে আমি সম্ভবত এখানে কথা বলার পরিবর্তে গভর্নিং কাউন্সিল বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’ রাহানের কথাতেই পরিষ্কার তিনি কতটা ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন।
যখন রাহানেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছ🥀িল যে, তিনি এদিন স্পিনারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কী বল🧔বেন, তখন মেজাজের কোনও হেরফের হয়নি, বরং যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে পড়ে। কেকেআর অধিনায়ক বলে দেন, ‘প্রথমত, স্পিনারদের জন্য কোনও সাহায্য ছিল না। আমি এটা পরিষ্কার করে দিচ্ছি।’
আরসিবি ম্যাচ থেকে হয়েছিল ঝামেলার সূত্রপাত
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ থেকেই ইডেনের পিচ নিয়ে সমস্যা চলছে। রয়্যাল চ্য🌃ালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিপক্ষে কেকেআরের পরাজয়ের পর থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত। রাহানে ইডেন গার্ডেন্সের পিচে যাতে স্পিনাররা সহায়তা পান, তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তবে, সুজন মুখোপাধ্যায় বলে দেন যে, তিনি কেকেআর-এর কথা মতো পিচ পরিবর্তন করতে বাধ্য নন এবং বিসিসিআই যা বলবে তিনি শুধুমাত্র তাই করবেন।
আরও পড়ুন: ICC-র আজব নিয়ম, তার জেরে প্রাপ্য এক রান কাটা গেল কোহলিদের, উঠল পরিবর্তনের ꦦজোরালো দাবি
এদিন ইড🌊েনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষমেশ লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে ৪ রানে হেরে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল লখনউ। তারা ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রানের বিশাল বড় স্কোর করে। মিচেল মার্শের ৪৮ বলে ৮১, নিকোলাস পুরানের ৩৬ বলে ৮৭, এডেন মার্করামের ২৮ বলে ৪৭ রানের হাত ধরে কেকেআর-এর উপর পাহাড় প্রমাণ রানের বোঝা চাপিয়ে দেয় লখনউ। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৩৪ করে কলকাতার দল। মাত্র ৪ রানে হারতে হয় কেকেআর-কে। কেকেআর-এর হয়ে সর্বোচ্চ রান অজিঙ্কা রাহানের। তিনি করেছেন ৩৫ বলে ৬১ রান। এছাড়া ২৯ বলে ৬৫ করেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। আটে নেমে ১৫ বলে অপরাজিত ৩৮ করেন রিঙ্কু সিং। কিন্তু তিনি দলকে জেতাতে পারেননি।