চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। আর এই নিয়ে একেবারে বিতর্কের ঝড় বয়েই চলেছে। যত দিন গড়াচ্ছে, ততই বিতর্ক বাড়ছে। যদিও এই বিষয়ে আইসিসি নিজেদের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। তবে সেই ব্যাখ্যার ধার ধারতে নারাজ পিসিবি। উল্টে আইসিসিতে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে মহসিন নকভির নেতৃত্বাধীন পিসিবি।
ಌরবিবার দুবাইয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে পিসিবি সিইও এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর সুমের আহমেদ সৈয়দকে উপেক্ষা করার জন্য এবার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে পিসিবি-র চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি অনুপস্থিত ছিলেন ঠিকই, তবে উপস্থিত ছিলেন পিসিবি-র সিইও সুমের আহমেদ সৈয়দ। এছাড়াও পিসিবি’-র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উসমান ওয়াহলা। কিন্তু এই দু'জনের কাউকেই পুরস্কার মঞ্চে ডাকা হয়নি।
ꦅতবে তাঁদের সম্পূর্ণ ভাবে উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে। দুবাইয়ে ফাইনালের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনি ভারতীয় খেলোয়াড়দের সাদা জ্যাকেট এবং ম্যাচ অফিসিয়ালদের মেডেল উপহার দেন, যখন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ ট্রফিটি অধিনায়ক রোহিত শর্মার হাতে তুলে দেন এবং বিজয়ীদের মেডেল দেন। বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সিইও রজার টোসেও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু উপেক্ষা করা হয় পিসিবি-র প্রতিনিধিদের।
ꩲপিটিআই-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, পিসিবির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সুমেরকে মঞ্চে না রাখার জন্য আইসিসি যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তাতে নাকভি খুশি হননি। সেই সূত্রের দাবি, ‘পিসিবি চেয়ারম্যান নকভি ফাইনালের দিন দুবাইয়ে থাকতে পারেননি। কারণ দেশের প্রাদেশিক মন্ত্রী হিসাবে পূর্বনির্ধারিত কিছু কাজ ছিল তাঁর। তবে সিইও-কে পাঠানো হয়েছিল দুবাইয়ে। কিন্তু তাঁকে মঞ্চে ডাকা হয়নি।’
আরও পড়ুন: 🐬IPL জয়ের পরেও যোগ্য স্বীকৃতি আমি পাইনি… KKR-এর অবহেলা নিয়ে অভিমানী শ্রেয়স
আইসিসি কী ব্যাখ্যা দিয়েছিল?
♓আইসিসি এক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। ইন্ডিয়া টুডেকে আইসিসির মুখপাত্র বলেছেন, ‘মিস্টার নাকভিকে পাওয়া যায়নি, তিনি দুবাইয়ে উপস্থিত থাকতে পারেননি। নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডের শীর্ষ কর্তারাই ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন। সেই কারণেই পাকিস্তানের কেউ ছিলেন না ট্রফি প্রেজেন্টেশনের সময়।’
ꦺঅর্থাৎ, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনও বোর্ডের প্রেসিডেন্ট, চেয়ারম্যান, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি, সিইও-রা হাজির থাকতে পারেন ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। বোর্ডের অন্যান্য কর্তারা মাঠে উপস্থিত থাকলেও তাঁদের মঞ্চে ডাকা হয় না। এক্ষেত্রে দুবাইয়ে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও সমীর আহমেদ সৈয়দ। তাঁকে কেন নাকভির অনুপস্থিতিতে মঞ্চে ডাকা হয়নি, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও জবাব মেলেনি।
আইসিসি-র ভুলগুলোও নোট করে রেখেছে পিসিবি
🐎আইসিসি-র সব ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করেছে পিসিবি। তারা উল্লেখ করেছে যে, গভর্নিং বডি টুর্নামেন্ট চলাকালীন বেশ কিছু ভুল করেছে। এর মধ্যে ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার ফিডের সময় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লোগোয় পাকিস্তানের নাম না থাকা, তার পর লাহোরে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত বাজানো- এমন বহু ভুল করেছে আইসিসি।