৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে জোরালোভাবে রয়েছে শ্রেয়স আইয়ার, রিকি পন্টিংয়ের পঞ্জাব কিংস। মঙ্গলবারের ম্যাচে আরেকটু হলেই, হারতে হত পঞ্জাবকে। কিন্তু রাহানের একটা ভুল আর শ্রেয়সদের হার না মানা মনোভাবই তাঁদের কামব্যাক করিয়ে দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে।🥂 আইপিএলে ১১১ রান ডিফেন্ড করে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছে শ্রেয়স আইয়ারের দল। ম্যাচ শেষে তাই রিকি পন্টিং বলে দিলেন এরকম ম্যাচ বের করা গোটা মরশুমের ফলাফল নির্ধারিত করে দিতে পারে।
আমার হার্টবিট বেড়ে গেছিলঃ পন্টিং
পঞ্জাব কিংসের কোচ রিকি বলেন, ‘আমার হার্টবিট এখনও বেড়েই রয়েছে। হয়ত ২০০র ওপরে উঠে গেছে। ৫০ বছর বয়সে এসে এরকম বেশি ম্যাচ আমি আর চাই না। খেলাটা কতটা মজাদার, আজকের ফলাফলে সেটাই বোঝা গেল। তিনদিন আগে ২৪৫ রান করেও আমরা সেটা ডিফেন্ড করতে পারিনি, আর আজ ১১১ রানও আমরা ডিফেন্ড করে দিলাম, তাও ১৬ র🔥ানে ম্যাচ ꦺজিতে। আমরা বলছিলাম ইনিংসের মাঝে যে ছোট রানের চেজ হলেও এই উইকেট কিন্তু খুব সহজ নয়। বল ধরে ধরে যাচ্ছিল ’।
চোট পাওয়া চাহালের প্রশংসায় রিকি
এরপরই পন্টিং জানান চোট পাওয়া চাহাল কীভাবে তাঁকে ম্যাচের আগে স্বস্তি দিয়েছিলেন। রিকির কথায়, ‘আজকে চাহাল কি দুর্দান্ত বোলিং করল দেখেছো? আমরা ওর খেলার বিষয়টা ওর ওপরই ছেড়েছিলাম। আজকে খেলার আগেও ও একটা ফিটনেস টেস্ট দিয়েছিল, কারণ ওর কাঁধে শেষ ম্যাচে একটা চোট লেগেছিল। আমি ওয়ার্ম আপের সময় ওর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, খেলতে পারবে কিনা🎉। ও বলেছিল যে ১০০ শতাংশ তৈরি রয়েছে। আর সেটাই ও দুরন্ত স্পেলে দেখিয়ে দিল ’।
পরিকল্পনা করেই নাইট বধ পঞ্জাবের
এরপর রিকি জানান, কম রানের টার্গেট হওয়ায় কেকেআরের বিরুদ্ধে তাঁরা কেমন পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। অর্থাৎ দুই লেফ্ট হ্যান্ডেড ওপেনারের বিরুদ্ধে আর্শদীপকে না এনে, জানসেন এবং বার্টলেটকে দিয়ে শুরুতে বোলিং করান তাঁরা নতুন বলে। আর তাতেই সাফল্য আসে। তাঁর কথায়, ‘এই ধরণের জয় সব সময়ই মিষ্টি হয়। আমি অনেক ম্যাচেই দলের কোচিং করিয়েছি, কিন্তু এটাই আমার কেরিয়ারের সেরা জয় মনে হয়।🅷 আজ যদি আমরা হেরেও যেতাম, তাহলেও আমি দ্বিতীয়ার্ধে দলের খেলায় খুশিই থাকতাম। আমাদের বল হাতে একটু বিশ্𝐆বাসের অভাব দেখেছিলাম, ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও একটু কেমন যেন জড়তা ছিল। কিন্তু আজকে সবই বদলে গেছে। আমার তো মনে হচ্ছিল, এটাই মরশুম নির্ধারণ করার মতো একটা ম্যাচ হয়ে যেতে পারে ’।
বদলার ম্যাচের পর শ্রেয়স আইয়ারকে বলতে শোনা গেল, ‘এমন কঠিন ম্যাচে জয় হজম করাও কঠিন। আমি চাহালকে বলেছিলাম, উইকেটে বল ঘুরছে, তাই ওকে দরকার ছিল। আর সব থেকে ভালো বিষয় হল, আজ যখন যেখানে যাকে দরকার ছিল, তাঁকে কাজে লাগানো গেছে। 🦩এমন জয়ের পর আমার কথা বলাই কঠিন হচ্ছে। আমি দুটো বল খেলেছিলাম, একটা বল নিচে ছিল, আরেকটা বলে আউট হয়েছি। যারা সুইপ শট খেলে, তাঁরাও আজ ভালো শট খেলতে পারছিল না। তাঁর মানে উইকেট যে কঠিন ছিল, সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। আর ১৬ রানে জয়ের পর মনে হচ্ছে, আমরা ভালোই রান করেছিলাম। আর যেহেতু পিচে বাউন্স ঠিকঠাক ছিল না, তাই বোলারদের বল꧒েছিলাম উইকেট টু উইকেট বোলিং করতে’।