সদ্য ꧒'ইন্ডিয়ান আইডল' জিতে ফিরেছেন শুভজিৎ চক্রবর্তী। প্রথমবারের জন্য ইন্ডিয়ান আইডল থেকে বাংলায় এসেছে তিনটি ট্রফি। জয়ী ও রানার আপ দুজনেই বাঙালি। এছাড়াও চতুর্থ হয়েছেন প্রিয়াংশু দত্ত। এদিকে ইন্ডিয়ান আইডল জয়ের পর কলকাতায় ফিরে নিজের সঙ্গীতগুরুদের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভজিৎ দত্ত। তিনি নিজেই সেই ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল🌳 মিডিয়ার পাতায়।
কোথায় গান শিখতেন শুভজিৎ?
সঙ্গীত অ্যাকাডেমি ললিত কলার ছাত্র শুভজিৎ চক্রবর্তী। ইন্জিয়ান আইডল জেতার পর ফিরে সেখানেই ফের গানের ক্লাস করতে গিয়েছিলেন খড়গপুরের এই ছেলেটি। 'আমার গানের স্কুল ললিতকলা'ক্যাপশানে সঙ্গীতগুরুদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন শুভজিৎ। যেখানে জয়ন্ত সরকার ও তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর ছেলে সীমান্ত সরকার ওরফে তাঁর জোজো দাদার🌌 সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন শুভজিৎ চক্রবর্তী। ছবিগুলির সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘ইন্ডিয়ান আইডল জার্নি শেষে দীর্ঘ দিন পর আমি আমার সঙ্গীত ক্লাসে গিয়েছিলাম গুরুজি, গুরুমা, জোজো দাদার কাছ থেকে আশীর্বাদ নিতে। আমার ললিতকলা পরিবারের কাছ থেকে সমস্ত ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ পেয়ে আমি ধন্য।’
প্রসঙ্গত এবার ইন্ডিয়ান আইডল জয়ী মানসী ঘোষও ললিত𓆏 কলার ছাত্রী। তিনি সেখানেই গান শেখেন।
আরও পড়ুন-নেশায় বুঁদ হয়ে ঘুমোচ্ছিলেন ঋ ও শ্রিয়া, মদে চুর ভিক্টো নাকি বোঝেনইনি সেটা দিন ন🧜া রাত!
শুভজিৎ-এর এই পোস্টে কমেন্ট করেছেন বহু নেটিজেন। একজন লিখেছেন, ‘ওনারা কী সুন্দর শিখিয়েছেন তোমাকে, সত্যিই সুন্দর।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘কী সুন্দর গলা, অনেক বড় হও।’ কারোর কথায়, ‘ঈশ্বর তোমায় আশীর্বাদ করুন, তুমি আমার প💧্রিয় প্রতিযোগী ছিলে।’ এমনই অসংꦜখ্য মন্তব্য উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত খড়পুরের চাঙ্গুয়ালে বাড়ি শুভজিৎ চক্রবর্তীর। একসময় ছোট্ট মাটির ঘরেই বেড়ে ওঠে সে, গান শেখা শুরু হয় তাঁর বাবার কাছেই। পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে যায় সে। আবাꦐর একটু বড় হতেই মায়ের সঙ্গে পানের দোকানেও বসত শুভজিৎ। তারপর একদিন সুপার সিঙ্গার সিজন ৩-তে জায়গা করে নিয়েছিল সে, আর এবার ইন্ডিয়ান আইডল-এর রানার আপের মুকুট পড়ে মুম্বই থেকে কলকাতায় ফিরেছে একসময়ের এই পানওয়ালা।
হ্যাঁ, শুভজিতের উত্থানের গল্প শুনলে যেকোনও কারোরই𝔉 মনে হবে এটা অনেক🌺টা রূপকথার মতো। ইন্ডিয়ান আইডলে থাকাকালীন বিচারকদেরও ভালোবাসা পেয়েছে সে। তাঁর কথায়, শ্রেয়া ঘোষালের ব্যবহার খানিকটা মায়ের মতো। ক্য়ামেরার পিছনে তাঁর সঙ্গে বাংলাতেই কথা বলতেন শ্রেয়া। কখনও খারাপ গাইলে, ‘ভালো হয়েছে, তবে আরও ভালো তুই গাইতে পারিস’ এভাবেই নাকি তাঁকে উৎসাহ দিতেন শ্রেয়া ঘোষাল। এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন খড়গপুরের এই ছেলেটি।