বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা সেদেশের দেশবাসীর উদ্দেশে দিয়েছেন শুভেচ্ছাবার্তা। তিনি বলেন,'পুরো পৃথিবীতে যেখানে যেখানে বাঙালিরা আছেন, আজ আমাদের সকলের ꦇআন♒ন্দের দিন।' একই সঙ্গে তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন, এই নববর্ষ ‘নতুন বাংলাদেশে প্রথম নববর্ষ’। এই নববর্ষ থেকে একচি অঙ্গীকার নেওয়ার কথাও জানন ইউনুস।
মহম্মদ ইউনুস তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন বাংলা সন গণনার কথা। প্রসঙ্গত, মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে এই সাল গণনা শুরু হয়। মহম্মদ ইউনুস তাঁর ভিডিয়ো বার্তায় বলেন,' বাংলা সাল গণনা শুরু হয়েছিল কৃষিকাজর সুবিধার জন্য। ফসলী সন হিসাবে। এখনও এদেশের কৃষকরা বাংলা তারিখের হিসাবেই বীজ বোনেন, ফসল তোলেন। বাংলানববর্ষের অবিচ্ছেদ্য অংশ হালখাতা।' তিনি সাফ বলেন,'বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় আমাদের সকলকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের এই ঐতিহ্য, যেন নিজেদের মধ্যেে সীমাবদ্ধ না থাকে, তা যেন আমরা ছড়িয়ে দিতে পারি বিশ্বের দরবারে। বছরের এই দিনটিতেই আমরা সুযোগ পাই, আমাদের সুদীর্ঘ ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে উৎসব মুখর পরিবেশে তুলে ধরতে, আর পৃথিবীর সামনেই তুলে ধরতে।' প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অত্যাচার ঘিরে নানান ঘটনা কিছু মাস আগেও একাধিক খবর উঠে আসতে থাকে। তারই মাঝে মহম্মদ ইউনুস নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন,' পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন, আজ সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ'। ইউনুস বলেন,'বিগত বছরের গ্লানি,দুঃখ বেদনা,অসুন্দর, অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে নকুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি। চলুন নতুন বাংলাদে꧒শ গড়ে তুলি।'
ইউনুস তাঁর নববর্ষের শুভেচ্ছার ভাষণে বলেন,' ২০২৪র গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামন𒉰ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবছর আমাদের নব অঙ্গীকার।' তিনি নববর্ষের সমস্ত আয়োজন ও উদ্যোগের সাফল্যও কামনা করেন। প্রসঙ্গত, এই বছর বাংলাদেশের নববর্ষের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম বদল হয়েছে। সেই শোভাযাত্রার নাম চলতি বছরে পাল্টে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ হয়েছে। সোমবার সকাল ৯ টা থেকে 💛তা বাংলাদেশের বুকে আয়োজিত হতে চলেছে।