কাশ্মীরের বুকে পহেলগাঁওতে ২৬ জন পর্যটকের ওপর জঙ্গি হামলার পরই বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দিল্লি। তারমধ্যে অন্যতম হল সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখা। সেই খবর সিন্ধুর ওপারে যেতেই গোঁসায় ফেটে পড়ে পাল্টা সিমলা চুক্তি বাতিল করেছে ইসলামাবাদ। এমনকি ভারতের সিন্ধু চুক্তি বাতিল কে ঘিরেও মুখ খুলেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর রাজ্য সিন্ধু চুক্তির সমর্থনে ছিল না। কার্যত ভূস্বর্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা ইসলামাবাদের কাছে কাশ্মীরের অবস্থানকেও আরও স্পষ্ট করে দিল।
১৯৬০ সালের জল চুক্তি স্থগিত রাখা হয়েছে ভারতের তরফে। শুক্রবার তা নিয়ে মুখ খুলে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়ে দিলেন,'ভারত সরকার কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। আর যদি জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয় বলেন, সত্যি কথা বলতে আমরা কোনও দিনওই সিন্ধু জলচুক্তির সমর্থনে ছিলাম না। তবে এটার দীর্ঘ সময়ের প্রভাব কী পড়ে, সেটা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।' তিনি বলছেন,'সিন্ধু জল চুক্তি সবচেয়ে অন্যায়মূলক নথি জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের প্রতি।'
( মে ২০২৫ এ আসছে ৫৪ ঘণ্টার ঝোড়ো গজকেশরী যোগ! খেলা ঘুরিয়ে ৩ রাশিতে সুসময় আনছেন দেবগুরু, চন্দ্র)
( বাংলায় তেড়ে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা! ভিজবে বহু জেলা, তাপপ্রবাহের আপডেট কী? রইল আবহাওয়ার খবর)
এদিকে, এই সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে অমিত শাহের বাড়িতে হাইভোল্টেজ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে জলশক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী সহ একাধিক তাবড় ব্যক্তিত্ব থাকছেন বলে খবর। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল হয়েছিল পহেলগাঁও-র জঙ্গি হামলা। তার ২৪ ঘণ্টা পরই ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে এই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দেয়। ফুঁসে ওঠে পাকিস্তানও। পাল্টা তারা শিমলা চুক্তি স্থগিতের পথে হাঁটে। পাকিস্তান জানায়, জলের গতি বদল, ‘যুদ্ধের শামিল’। এরপর থেকেই পর পর হুঁশিয়ারি দিতে থাকে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কণ্ঠে ভারতকে নিয়ে বহু হুঁশিয়ারি আসতে থাকে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় জল শক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব দেবশ্রী মুখোপাধ্যায় এদিন পাকিস্তানকে একটি চিঠি লিখে সাফ জানিয়ে দেন যে ভারত এই চুক্তি স্থগিত রাখছে। ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সিন্ধু জল কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করা প্রদীপ কুমার সাক্সেনা পিটিআইকে বলেছেন, 'উঁচু অববাহিকার দেশ হিসাবে ভারতের কাছে একাধিক বিকল্প রয়েছে।