এআইএফএফের বর্তমান কমিটি পড়ল বিপাকে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এআইএফএফের নতুন সংবিধান তৈরি নিয়ে মামলা ছিল। সেখানেই শুনানিতে সব পক্ষের বক্তব্য শোনেন মহামান্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি পিএস জয়সিংহ। এরপর তাঁরা যা বললেন, তাতে কল্যাণ চৌবের কপালের ভাঁজ চওড়া হতে বাধ্য
আইএসএল (ISL) নিয়ে এখনই বৈঠক নয়
সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, যত দিন না সংবিধান নিয়ে রায় দিচ্ছে শীর্ষ আদালত, ততদিন পর্যন্ত নতুন করে কোনও সিদ্ধান্তই আর নিতে পারবে না বর্তমান কমিটি। অর্থাৎ পুনরায় এমআরএ চুক্তি করা যাবে না। আইএসএলের আয়োজক হিসেবে এআইএফএফ এবং এফএসডিএলকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যতদিন না কোনও রায় আসছে, ততদিন নতন করে কোনও পদক্ষেপই আর নেওয়া চলবে না।
ডিসেম্বরেই চুক্তি শেষ AIFF-FSDL এর
ডিসেম্বর মাসের শেষেই এআইএফএফের সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে এফএসডিএলের। অর্থাৎ এর পরে কীভাবে ভারতীয় ফুটবলের এক নম্বর লিগ আইএসএল হবে, সেই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কোনও ধারণা এখনই নেই ফেডারেশনের কাছে। এমনিতেই আইএসএলে নাকি খরচ কমাতে চাইছে এফএসডিএল, তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই আবহে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে ফেডারেশন এবং এফএসডিএলের মধ্যে, যদিও আদালত স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে এখন আর কোনও বৈঠক করতে পারবে না এআইএফএফের বর্তমান কমিটি।
আদালতে কদিন পরই গ্রীষ্মকালীন অবকাশ বা সামার ভ্যাকেশন শুরু হচ্ছে। ফলে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ের আগে এই মামলায় কোনও রায় আসার সম্ভাবনা কম রয়েছে। তাই চলতি মাস থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এআইএফএফের তরফে নতুন করে কোনও সিদ্ধান্তই আর নিতে পারবে না কল্যাণ চৌবের কমিটি। আদালতের রায়ের পরই ফলে নির্ভর করতে চলেছে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ।
ভাইচুংরা বিরক্ত কল্যাণ চৌবের কমিটির ওপর
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এআইএফএফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ভাংচুং ভুটিয়াসহ অনেকেই এআইএফএফের কাজে বিরক্তি প্রকাশ করেছে। কল্যাণ চৌবের ফেডারেশন কদিন আগেই সিএএসের রায়কে উপেক্ষা করে চার্চিলকে আইলিগ ট্রফি দেওয়ার পর আবার তা ফেরত চাওয়র মতো বিড়ম্বনা তৈরি করেছে। এই আবহেই শীর্ষ আদালতেও ফেডারেশন ধাক্কা খাওয়ায় চাপের মুখে পড়ল কল্যাণ চৌবেদের বর্তমান কমিটি।
নয়া সংবিধানের পরই নির্বাচন ফেডারেশনে
যা পরিস্থিতি তাতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই নয়া সংবিধান তৈরি হতে ফেডারেশনে। আর সেই সংবিধানের দেখানো পথেই হবে নির্বাচন। ফলে নিজেদের মেয়াদ শেষের আগেই কল্যাণ চৌবের কমিটিকে ফের একবার নির্বাচনের মুখে পড়তে হচ্ছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। সুপ্রিম কোর্টের এদিনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দিল্লি এফসির কর্তা রঞ্জিত বাজাজ।